Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
BCCL

BCCL: খনিতে চাকরির দাবি, অনশন পড়ল ৪৫ দিনে

দ্রুত নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবি তুলেছে আইএনটিটিইউসিও। খনি কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

অবস্থানে জমিদাতাদের একাংশ।

অবস্থানে জমিদাতাদের একাংশ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বরাকর শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২২ ০৬:৩৭
Share: Save:

জমি দিয়েছেন প্রায় ছ’বছর আগে। বছর চারেক আগে পুলিশি নিরীক্ষণ থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা—সবই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজও চাকরির নিয়োগপত্র পাননি। এই অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলক সংস্থা ‘ভারত কোকিং কোল লিমিটেড’ (বিসিসিএল)-এর চাঁচ ভিক্টোরিয়া এরিয়া কার্যালয়ের গেটে পরিবার নিয়ে লাগাতার অনশন অবস্থানে বসেছেন ২০ জন জমিদাতা। সোমবার এই কর্মসূচি ৪৫ দিনে পড়েছে। তাঁরা অবিলম্বে নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। দ্রুত নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবি তুলেছে আইএনটিটিইউসিও। খনি কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার চাঁচ ভিক্টোরিয়া এরিয়ার অধীনে দামাগড়িয়া-চাপতোড়িয়া এলাকায় খোলামুখ কয়লাখনি সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ চলছে। ২০১৪-য় প্রথম নিজেদের জমিতে খননকাজ শুরু হয়। পরে, আরও জমির দরকার হলে, ২০১৬-য় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রায় সাড়ে তিনশো একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দেড়শো জন জমিদাতা চাকরিও পেয়েছেন বলে দাবি। আরও প্রায় ২০ জন জমিদাতার চাকরি পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে কোনও রকম উচ্চবাচ্য করছেন না।

‘দামাগড়িয়া-চাপতোড়িয়া ল্যান্ড লুজার কমিটি’র সভাপতি বিমান দত্তের দাবি, ২০১৬-য় তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বিসিসিএল কর্তৃপক্ষের নামে জমি করে দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ২০১৮-য় জমিদাতাদের পুলিশি নিরীক্ষণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়ে গিয়েছে। অথচ, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না। বিমান দত্তের অভিযোগ, “গত চার বছর ধরে বার বার খনি কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু আমাদের কোনও কথা শোনা হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে খনি কার্যালয়ের গেটে অনশন অবস্থানে বসেছি।” আর এক জমিদাতা বিপ্লব দাস বলেন, “জমি টুকুই আমাদের ভরসা। ভেবেছিলাম চাকরি হবে। কিন্তু চার বছর ধরে অন্যত্র দিনমজুরি করে সংসার চলছে।”

সোমবার বরাকরের ওই খনি কার্যালয়ের গেটে দেখা গেল, কার্যত ম্যারাপ বেঁধে অবস্থানে বসেছেন ২০ জন জমিদাতা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা। নিজেদের মধ্যে পালা করে রিলে-অনশনও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেন তাঁরা। অশান্তি এড়াতে অবস্থান মঞ্চের অদূরে দাঁড়িয়ে আছে সিআইএসএফ। এই অবস্থান প্রসঙ্গে আইএনটিটিইউসি-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, “অনুনয়-বিনয়ে কাজ হচ্ছে না। আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিয়োগপত্র দেওয়া না হলে, আন্দোলন শুরু করব।” বিসিসিএলের চাঁচ ভিক্টোরিয়া এরিয়ার জিএম প্রণবকুমার মিশ্রের আশ্বাস, “জমিদাতারা দ্রুত চাকরি পাবেন। আমরা সে ব্যবস্থা করছি।” প্রণবের দাবি, নিয়োগপত্র দেওয়ার আগে সংস্থাগত কিছু কাজ থাকে। সে জন্য সামান্য দেরি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

BCCL Barakar Hunger strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE