ধৃত প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী। নিজস্ব চিত্র।
প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর বাড়িতে পুরোদস্তুর ল্যাবরেটরি বানিয়ে তৈরি হচ্ছিল হেরোইন। সেই হেরোইন ছড়িয়ে পড়ছিল জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা রাজ্যে। ভিন্ রাজ্যেও পৌঁছে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই কারবারের পর্দা ফাঁস করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন ওই নৌসেনা কর্মী গোলাম মুর্শেদ-সহ চার জনকে।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম রাজুয়ায় প্রাসাদোপম বাড়ি বানিয়েছিলেন গোলাম। সেই বাড়িতেই রমরমিয়ে চলছিল হেরোইন তৈরির কারবার। গোপন সূত্রে সেই খবর পায় এসটিএফ। শুক্রবার গভীর রাতে কাটোয়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয় গোলামের বাড়িতে। উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে মরফিন (যা দিয়ে ল্যাবরেটরিতে হেরোইন তৈরি হত) এবং নগদ টাকা।
এসটিএফ সূত্রে খবর, গোলাম দীর্ঘ দিন ধরেই হেরোইনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাতে লাভ সীমিত। তাই অতিরিক্ত লাভের লোভে সম্প্রতি লক্ষাধিক টাকা দিয়ে তিনি দু’জন হেরোইন তৈরিতে দক্ষ লোককে নিয়ে আসেন রাজুয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে। বাড়িতেই তৈরি হয় ল্যাবরেটরি। সেখানেই দু’জন কারিগর মরফিন থেকে হেরোইন তৈরি করতেন। তার পর সেই মাদক জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে যেত বিভিন্ন জায়গায়।
ধৃতদের জেরা করে এসপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকেরা জানার চেষ্টা করছেন, ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হেরোইন কোথায় এবং কার কাছে বিক্রি করা হত। কোথা থেকে হেরোইন তৈরির কারিগর আনা হয়েছিল। কত দিন ধরে এই ব্যবসা চলছে জানতে চাইছে পুলিশ।
অন্য দিকে, এই ঘটনায় চোখ কপালে গ্রামবাসীদের। নিস্তরঙ্গ গ্রামের বাসিন্দারা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তাঁদের গ্রামেই রীতিমতো কারখানা খুলে রমরমিয়ে তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ মাদক হেরোইন। এবং তা ছড়িয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। উল্টে নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী গোলামকে সম্ভ্রমের চোখেই দেখতেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy