ইউনিয়ন কার্যালয়ে সার দিয়ে নামানো আছে খালি কেটলি নিজস্ব চিত্র।
এখনও লোকাল ট্রেনের চাকা গড়াল না। হতাশ বর্ধমান স্টেশনের হকাররা। বর্ধমান রেল ইউনিয়ন কার্যালয়ে নিরাশ হয়ে বসে তাঁরা। ইউনিয়ন কার্যালয়ে সার দিয়ে নামানো আছে খালি কেটলি, স্টোভ, চায়ের কাপ, বালতি। সেই সঙ্গে রাখা আছে মুড়ির টিন।
বর্ধমান রেল স্টেশনের হকার বিপিন রায় বলেন, ‘‘দীর্ঘ ১ বছর ধরে আমাদের কোনও কাজ নেই। ভেবেছিলাম ১৬ জুন থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। কিন্তু ট্রেন চলাচল করবে না। আমরা ভেঙে পড়েছি। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। ছেলে বউকে খাওয়াবো কী ভাবে সেটাই চিন্তার।’’
রেলওয়ে হকার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইনসান আলি বলেন, ‘‘দীর্ঘ ১ বছর ৪ মাস হকারি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় অবস্থা খারাপ হয়েছে আমাদের। এই মুহূর্তে বর্ধমান স্টেশনে ১৩০০ হকার কাজ করেন। ইতিমধ্যেই ৪ জন হকার আত্মহত্যা করেছেন। বাকিদের অবস্থা একই রকম। অনেকেরই সংসার চলছে না। এরকম চলতে থাকলে আগামী দিনে তাঁরাও আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন।’’ তিনি আরও জানান, বিভিন্ন জায়গায় সরকারের পক্ষ থেকে হকারদের ২০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে হকাররা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। যাতে করে আগামী দিনে রেলের হকাররা এই সব সুবিধা পায় তার ব্যবস্থা করা হোক।
এই প্রসঙ্গে বর্ধমান স্টেশনের ম্যানেজার স্বপন অধিকারী বলেন, ‘‘লোকাল ট্রেন চলাচলের বিষয়ে রেলের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশকা আসেনি। তাই এই মুহূর্তে কয়েকটি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন ছাড়া সব লোকাল ট্রেনই বন্ধ থাকছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy