জলে মেশানো হচ্ছে ওআরএস। (ইনসেটে) হরিণের দল। নিজস্ব চিত্র
গরমের সঙ্গে যুঝতে কাঁকসার দেউলে হরিণ, ময়ূর-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীদের জন্য ওআরএস, কাঁচা আনাজ দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে বন দফতর (বর্ধমান ডিভিশন)।
কাঁকসার গৌরাঙ্গপুর মৌজায় বাম আমলে বন দফতর হরিণ ও ময়ূরের জন্য সংরক্ষিত এলাকা তৈরি করে। বর্ধমান ডিভিশনের দুর্গাপুর রেঞ্জের শিবপুর বিটের অন্তর্গত এই এলাকায় বর্তমানে ৯৬টি হরিণ রয়েছে। এগুলির মধ্যে আটটি হরিণ শাবকও রয়েছে। ময়ূরের সংখ্যাও বাড়ছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরের ঠিক সংখ্যাটি বলা না গেলেও, সংরক্ষিত এলাকা ছেড়ে জনবসতির মধ্যেও ময়ূর দেখা যাচ্ছে।
গত কয়েক দিন ধরে কাঁকসায় তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। জনজীবনের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদের উপরেও এই গরমের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর এখনও পর্যন্ত সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি। গাছের নতুন পাতা বা জঙ্গল ঘন হতে শুরু হয়নি। এই অবস্থায় ঘাসের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সে দিকে নজর রেখে প্রতিদিন গাজর-সহ নানা ধরনের প্রায় ২০ কিলোগ্রাম করে টাটকা আনাজ দেওয়া হচ্ছে। দিনে দু’বার খাবার দিচ্ছেন বনকর্মীরা। এ ছাড়াও তাপপ্রবাহের হাত থেকে হরিণ, ময়ূরকে রক্ষা করতে বন্যপ্রাণীদের খাবারের জলে ওআরএস ও গ্লুকোজ় দেওয়া হচ্ছে। বন দফতরের দুর্গাপুরের রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পশু চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রতিদিন ২০ প্যাকেট ওআরএস পানীয় জলে মেশানো হচ্ছে। সংরক্ষিত এলাকায় বন্যপ্রাণীদের জল খাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে। সে সব জায়গাতেই ওআরএস মিশিয়ে দেওয়া হয়। গরম না কমা পর্যন্ত এই কাজ চলবে। এ সব ছাড়াও, আখের গুড়, ভেজানো ছোলা, বিটনুন প্রভৃতিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিএফও (বর্ধমান) নিশা গোস্বামী বলেন, “গরমে বন্যপ্রাণীদের সুস্থ রাখতেই এই খাবারের তালিকা করা হয়েছে। নজরদারিও চালানো হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy