নিজস্ব চিত্র।
ফুটপাতের সিংহভাগ হকারদের দখলে। যার ফলে মূল রাস্তা ধরেই হাঁটাচলা করতে হয়। তার জেরে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। পথচারীরা মূল রাস্তা ব্যবহার করায় তাঁদেরও সমস্যা হয়, দাবি গাড়ি চালকদেরও। তাই আসানসোল বাজার এলাকার ফুটপাতগুলি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। পুরসভার আশ্বাস, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
শহরের অনেকেরই অভিযোগ, প্রায় তিন দশক ধরে আসানসোলের ফুটপাত দখলমুক্ত করার দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মেলেনি। বছর পাঁচেক আগে এক বার পুরসভার তরফে ফুটপাত হকার-মুক্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ফল হয়নি। ফলে, দুর্ভোগ চলছেই।
আসানসোল বাজার এলাকায় এই সমস্যা বেশি। হাটন রোড থেকে একেবারে রাহা লেন পর্যন্ত প্রায় পাঁচশো মিটার ফুটপাতের অংশ পুরোপুরি হকারদের দখলে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। একটি বস্ত্র বিপণির মালিক সুরেন্দ্র জয়সওয়ালের কথায়, ‘‘ফুটপাতের হকারদের জন্য আমাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। মানুষজন ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারেন না। তাউ দোকানেও ঢুকতে পারেন না।’’ স্থায়ী দোকানের মালিকদের অনেকেরই অভিযোগ, পলিথিনের ছাউনি দেওয়া অস্থায়ী দোকানগুলিতে কোনও ভাবে আগুন লাগলে রক্ষা নেই। একই আশঙ্কার কথা জানান দমকলের আধিকারিকেরাও। ফুটপাত দখলদারির জেরে প্রয়োজনে ইঞ্জিন নিয়ে ভিতরে ঢোকা সম্ভব হবে না বলে জানান তাঁরা।
বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিনের মধ্যে পুজোর কেনাকাটা জমে উঠবে। বাজারে ভিড় বাড়বে। এই অবস্থায় ফুটপাতের হাল নিয়ে নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। স্থানীয় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী মণিদীপা দত্তের কথায়, ‘‘বাজারের ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময়ে কিছু হকার উত্ত্যক্তও করেন।’’ মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘আমরা সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করব।’’
আসানসোল স্টেশন রোডের ফুটপাতটিরও একই হাল। শহরবাসীর অভিযোগ, সেখানে ফুটপাত তো বটেই, রাস্তার একাংশও দখল করে অস্থায়ী দোকান করেছেন হকারেরা। তার সঙ্গে বেআইনি ভাবে মোটরবাইক, স্কুটার রাখার সমস্যা রয়েছে। রেলের আধিকারিকদের আশ্বাস, স্টেশন রোডের ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। রাস্তার মাঝে ডিভাইডার দেওয়া হচ্ছে। পুজোর আগেই এই কাজ শেষ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy