কেতুগ্রামের কেউগুঁড়ি এলাকায় চাষের জমি ডুবেছে জলে।
এক দিকে টানা বৃষ্টি, অন্য দিকে কুয়ে নদীর জল উপচে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কেতুগ্রামের আনখোনা পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম। রবিবার বিকালে কাটোয়ার মহকুমাশাসক মৃদুল হালদার জানিয়েছেন, কাটোয়ার কাছে প্রাথমিক বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ভাগীরথী। শনিবার বিকালে আনখোনা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখে এসে জেলা স্তরে রিপোর্টও পাঠিয়েছেন তিনি।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে জল জমে যায় খেতজমিতে। তার উপর শনিবার সকাল থেকে ময়ূরাক্ষীর শাখানদী কুয়ের জল উপচে গ্রামে ঢুকতে থাকে। দুপুরের পর থেকেই আনখোনা, চাকটা, মৌরি, মাজিনা, সুবেপুর, কেচুরি, মোরডাঙা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ভিতর জল ঢুকে পড়ে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক স্কুলে আশ্রয় নিতে শুরু করেন বাসিন্দারা। শনিবার রাতে মহকুমাশাসক মৃদুল হালদার ওই এলাকা ঘুরে এসে বলেন, “পরিস্থতি খুব খারাপের দিকে এগোচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কয়েক’শো পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে তুলে নিয়ে আসতে হয়েছে। সেখানে রান্না করা খাবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ কয়েকটি গ্রাম ইতিমধ্যেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলেও তাঁর দাবি। পরে রবিবার পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি
কেতুগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহের শেখের দাবি, “সাতটি ত্রাণ শিবিরে দেড় হাজার বাসিন্দা রয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে এখনও পর্যন্ত ৫৫০-৬০০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। রোদ উঠলে আরও বাড়ি ভাঙবে বলে মনে করছি।” বেশ কিছু রাস্তাতেও ৪-৫ ফুট উপর দিয়ে জল বইছে বলে স্থানীয়দের দাবি। বাদশাহী সড়কের উপর দিয়ে জল যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চাকটা-কোমরপুর, হলদিয়া-মালদা ইত্যাদি এলাকা। রবিবার সকালে কেতুগ্রাম ১-এর বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন। ওই প্রতিনিধি দলে থাকা স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য মনিরুজ্জামান মীর বলেন, “আমরা মৌরি, মাজিনা এলাকায় ঢুকতেই পারিনি। বৃষ্টি না থামলে কী হবে ভাবতে পারছি না। প্রশাসনের কাছে নৌকার দাবি জানিয়েছি।’’ তাঁর দাবি, নৌকার ব্যবস্থা থাকলে জলবন্দি মানুষজনকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা যাবে। আবার সুষ্ঠু ভাবে ত্রাণও পৌঁছে দেওয়া যাবে দুর্গতদের কাছে।
ছবিগুলি তুলেছেন অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মধুমিতা মজুমদার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy