মাঠে নষ্ট ফুলকপি। কালনায়। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতিবারই জলদি জাতের ফুলকপির চাষ করেন পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বহু চাষি। দুর্গাপুজোর আগে ফুলকপি উঠতে শুরু করে জমিতে। উৎসবের মরসুমে দরও মেলে ভাল। তবে এ বার ধসা রোগে প্রচুর জলদি জাতের কপি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন চাষিরা। শুকিয়ে মারা যাচ্ছে ফুলকপির চারাও।
চাষিরা জানিয়েছেন, এ বার দুর্গাপুজো কিছুটা দেরিতে হওয়াই কিছুটা আগেই জলদি জাতের ফুলকপি জমি থেকে উঠতে শুরু করে দিয়েছে। তবে সপ্তাহ দুয়েক হল বহু জমিতে ফুলকপি লাল হয়ে জমিতে পচে যাচ্ছে। দ্রুত গাছও শুকিয়ে যাচ্ছে। ফুলকপির পাশাপাশি বহু বাঁধাকপির জমিতেও ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষতিকারক এই রোগ। চাষিদের কথায় এই রোগের নাম ‘জং ধসা’। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের হৃষি এলাকার বাসিন্দা বলরাম দাস জানান, এই সময় ফুলকপি চাষে লাভ ভাল হয়। চাষের খরচও বেশি হয়। কারণ কীটনাশক দিতে হয় অনেকটা। বিঘা প্রতি ফুলকপি চাষ করতে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা লাগে। এ বার এত খরচ করে চাষ করা ফুলকপি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মুশকিলে পড়েছেন তাঁরা। আবহাওয়ার কারণে ক্ষতিকারক এই রোগ ছড়িয়েছে বলে অনুমান তাঁদের।
ফুলকপি চাষি দুলাল দাস, বাপি মণ্ডল, হরেকৃষ্ণ দাস, সমীর দাসেরা জানান, সপ্তাহ দুয়েক হল এই রোগ মারাত্মক আকার নিয়েছে। কোনও ওষুধ প্রয়োগ করেও এই রোগ দমানো যাচ্ছে না।বিঘের পর বিঘে জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। ফলে লাভ তো দূর, চাষের খরচও উঠবে না আশঙ্কা তাঁদের। কালনা শহরের চকবাজার এলাকার এক আনাজ বিক্রেতা ধ্রুব দে বলেন, ‘‘এই সময়ে জলদি জাতের ফুলকপি ভাল পরিমাণে বাজারে চলে আসে। এ বার ফুলকপি অনেক কম এসেছে। ফলে দাম কিছুটা বেশি।’’ জেলার এক সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘মাঝে বেশ কিছুটা বৃষ্টি মিলেছিল। রোদ উঠতেই ছত্রাকের হামলা দেখা দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এজক্সিস্ট্রবিন ও টেবুকনাজল অথবা মেটালক্সিল ও ম্যাঙ্কজেবের মিশ্রন স্প্রে করলে চাষিরা উপকৃত হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy