—প্রতীকী চিত্র।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত চাষি, অথচ সহায়ক মূল্যে ধান কেনার সরকারি পোর্টালে বহু কৃষকের সম্পর্কে সেই তথ্য নেই। ফলে অনলাইন প্রক্রিয়ায় সেই কৃষকেরা ধান বিক্রির সময় বেছে নিতে পারছেন না। এমনই সমস্যায় পড়েছেন গলসি ২ ব্লকের কয়েক হাজার কৃষক। ধান ক্রয় কেন্দ্রের আধিকারিকদের দাবি, পোর্টালের সমস্যা না মেটা পর্যন্ত ওই কৃষকেরা স্লট পাবেন না। ফলে তাঁদের ধান কেনাও যাচ্ছে না। বিডিও (গলসি ২) মৈত্রী ভৌমিক বলেন, “বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই জেলার কর্তাদের বলা হয়েছে। আশা করি দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”
নভেম্বর থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য খাদ্য দফতর। ব্লকের কিসান মান্ডি ও স্থায়ী শিবিরের পাশাপাশি মোবাইল শিবির করে সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। নথিভুক্ত চাষিরা অনলাইনে নিজেরাই ধান বিক্রির নির্দিষ্ট তারিখ, ধানের পরিমাণ এবং কেন্দ্রের নাম বেছে নিতে পারছেন। গলসি ২ ব্লকেও সেই সুবিধা রয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ধানের উৎপাদনের নিরিখে তাঁদের ধান ক্রয়ের নির্দিষ্ট সীমা ধার্য করেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, গলসির এই ব্লকে চলতি খরিফ মরশুমে ২৩,২৬৩ টন ধান কেনা হবে। কিন্তু অনলাইনে চাষিরা নিজেরা স্লট নিতে গিয়ে সমস্যা পড়ছেন।
তাঁদের দাবি, নামের নথি, আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই করা রয়েছে। কিন্তু জমির পরিমাণ কৃষক বন্ধুর তথ্য পোর্টালে দেখাচ্ছে না। ফলে, স্লট নেওয়া যাচ্ছে না। গলসির রহমত মোল্লা, আদড়াহাটির মহম্মদ হানিফ, সাঁকোর গণেশ চন্দ্ররা বলেন, “কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত চাষি আমরা। কিন্তু ধান কেনার পোর্টালে কৃষক বন্ধুর কোনও তথ্য নেই। ফলে আমরা ধান বিক্রির স্লট পাচ্ছি না।” ধান ক্রয় কেন্দ্রের এক আধিকারিকেরা বলেন, “অনেক চাষি এই সমস্যায় ভুগছেন। পোর্টলে কৃষকবন্ধুর তথ্য না পাওয়া গেলে কোনও স্লটও পাওয়া যাচ্ছে না।” তাঁদের দাবি, পোর্টাল ছাড়া তাঁরা ধান কিনতে পারবেন না। জেলা খাদ্য নিয়ামক (পূর্ব বর্ধমান) মিঠুন দাস বলেন, “সমস্যা হয়েছিল।
মেটানো হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy