ভেঙে পড়েছেন চাষি। নিজস্ব চিত্র
আলুর ক্ষতিপূরণ না পেলে, আমন চাষ শুরু করা মুশকিল দাবি করে হিমঘর কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন মেমারির ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। জেলা প্রশাসন, পুলিশও চাষিদের সাহায্য করার আর্জি জানায়। অভিযোগ, তার পরেও মেমারির রসুলপুরের ওই হিমঘর কর্তৃপক্ষ কার্যত ‘নির্লিপ্ত’। সোমবার, আদালতের বাইরে আলোচনার মাধ্যমে চাষিদের আমন মরসুমের জন্য যে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন হিমঘর কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ে বৈঠক ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসকের কার্যালয়ে। জানা গিয়েছে, সেখানে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈঠক শেষে দৃশ্যত কাঁদতে কাঁদতে জেলাশাসকের দফতর থেকে বেরোন চাষিদের একাংশ। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বৃহস্পতিবার হিমঘর কর্তৃপক্ষ ও ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন বৈঠক করে। সেখানে রসুলপুরের অন্তত ১০টি গ্রামের চাষি দাবি করেন, হিমঘরে আলু রেখে ক্ষতি হয়েছে তাঁদের। বর্তমানে আমন চাষ করার মতো টাকা তাঁদের কাছে নেই। কিছুটা আর্থিক সাহায্য পেলে, ক্ষতিপূরণ থেকে ওই টাকা বাদ দেওয়া যাবে বলেও জানান তাঁরা। প্রশাসন সূত্রের দাবি, হিমঘরের তরফেও ওই আশ্বাস দেওয়া হয়। এ দিন সন্ধ্যায় কত টাকা সাহায্য করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরুতেই হিমঘর মালিক পক্ষ দাবি করেন, ১,৮৮৯ জন চাষির ১,১৫,৬৬৩ বস্তা (৫০ কেজির বস্তা) আলু গত ১৯ মে তাঁদের হিমঘরের তিন নম্বর চেম্বারের গ্যাস লিক করে নষ্ট হয়েছে। বস্তা পিছু ৪০ টাকা করে সাহায্য করতে পারেন বলেও দাবি করেন তাঁরা। টাকার অঙ্ক শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন চাষিরা। আলোচনার পরে বস্তা পিছু ১৫০ টাকা পর্যন্ত সাহায্য করতে পারবেন বলে হিমঘর কর্তৃপক্ষ জানান। কিন্তু চাষিদের দাবি ছিল, বস্তা পিছু ৫০০ টাকা দিতে হবে। বৈঠকে থাকা একাধিক চাষি বলেন, ‘‘ওই টাকাও দু’ধাপে দেওয়া হবে বলে হিমঘর মালিকেরা জানান। ওঁরা তো ভিক্ষা দিচ্ছেন না, তা হলে বস্তা পিছু ১৫০ টাকা করে নেওয়ার প্রশ্নই নেই।’’
চাষিদের প্রতিনিধি গৌতম ঘোষ, সদানন্দ মণ্ডল, লাল্টু মোল্লারা বৈঠক থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরোন। তাঁদের দাবি, ‘‘জেলাশাসক আমাদের হয়ে কথা বলেছেন। অথচ, মালিক পক্ষ অনড়। ২২ জুলাই থেকে সেচের জল দেবে। আমরা কী ভাবে চাষ করব? কয়েক হাজার চাষি অসহায়।’’ আলু নষ্টে ক্ষতিপূরণের বিষয় নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন হিমঘর কর্তৃপক্ষ। এ দিন হিমঘরের মালিক সুপ্রকাশ ভট্টর বলেন, ‘‘কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই মন্তব্য করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy