বেহাল বাজার ঘাটে চলছে স্নান। —নিজস্ব চিত্র।
ঘটনার একদিন কেটে গেলেও কাটোয়ার বাজার ঘাটে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যাওয়া যুবকের হদিস মেলেনি। সোমবার সকাল থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা স্পিডবোটে ভাগীরথীতে তল্লাশি চালান। তবে রাত পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি বিজয় কুন্ডুর।
এই সময় নদীতে জল কম থাকায় স্নানের ঘাটগুলির জীর্ণদশা জেগে উঠেছে। দেবরাজ ঘাট থেকে শুরু করে বাজার ঘাটের সিঁড়িগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাজার ঘাটে শেষ সিঁড়ির পরেই প্রায় পাঁচ ফুট গভীর খাদ। দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে ভেঙেচুরে কার্যত তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অন্য ঘাটগুলিতেও কোথাও হাঁটু জলের পরে বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। নদীতে জল বাড়লে ওই মরণফাঁদগুলি ঢাকা পড়ে যায়। সেই সময় প্রতি মুহুর্তে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। দিনের পর দিন পেরিয়ে গেলেও ঘাট সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে শহরবাসীর।
তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের অনেক কাজ হলেও শহরের ভাগীরথীর ঘাটগুলি সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। জল কম থাকার সময়ে ঘাটগুলি সংস্কারেরও দাবি তুলেছেন তাঁরা। স্নানের ঘাট বরাবর জায়গায় লোহার খুঁটিতে বড় বড় শিকল ও নেট দেওয়ারও দাবি উঠেছে। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কমবে।
নদী পাড়ের শহর কাটোয়ায় প্রায় ১৫টি স্নানের বাঁধানো ঘাট রয়েছে। প্রতিটি ঘাটেই ডাঙা থেকে নদীর গভীর পর্যন্ত সিঁড়ি করা রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ঘাটগুলিতে স্নান করতে গিয়ে মুশকিলে পড়ছেন বাসিন্দারা। জলের নীচে থাকা সিঁড়ি ভেঙে গিয়ে বড় বড় ফাঁক হয়ে গিয়েছে। ইতিউতি বড় বড় বোল্ডার পড়ে রয়েছে। তাতেও বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শহরের বাসিন্দা অজয় সাহা বলেন, “কাটোয়ার পাশ দিয়ে গঙ্গা নদী বয়ে চলায় প্রতিদিনই মহকুমার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ পূণ্য লাভের আশায় স্নান করতে আসেন। পুজো পার্বণে সেই ভিড় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়়তে থাকে। জল বেড়ে গেলে ঘাটগুলির ভাঙাচোরা অংশ দেখা যায় না। তখন মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা হয়। এই সময় স্নানের ঘাটগুলি উপযুক্ত ভাবে সংস্কার করা দরকার।’’
পুরপ্রধান সমীরকুমার সাহা বলেন, “শহরের স্নানের ঘাটগুলি সংস্কার করার জন্য মহকুমা প্রশাসন ও সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে।’’ মহকুমাশাসক (কাটোয়া) অর্চনা পন্ধরিনাথ ওয়াংখেড়ে বলেন, ‘‘তলিয়ে যাওয়া যুবকের খোঁজে নদীতে তল্লাশি চলছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে পুনরায় না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy