এই রাস্তা নিয়েই আপত্তি গলসির সোদপুরে। নিজস্ব চিত্র।
বালি খাদানে যাতায়াতের রাস্তার জন্য চাষের জমি দখলের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। গলসি ১ ব্লকের সোদপুর মৌজার চাষিদের একাংশের অভিযোগ, রাস্তা চওড়া করতে জোর করে চাষিদের জমি নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের সদস্যের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই চাষিরা। মঙ্গলবার সকালে কিছু বাসিন্দা রাস্তা চওড়া করার কাজেও বাধা দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার সোনামুখীর পলসড়া মৌজায় দামোদরে সরকার অনুমোদিত দু’টি বালি খাদান রয়েছে। এ ছাড়া, কয়েকটি অবৈধ খাদান চলে বলে অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের গলসি হয়ে সেই বালি পরিবহণ করা হয়। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, সোদপুরের কুকুই নদীর ঘাট থেকে দামোদর পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার মাঠে যাওয়ার রাস্তাটি আগে শুধু কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার হত। এখন বালি পরিবহণের জন্যও সেটি ব্যবহার করা শুরু করেছেন খাদান মালিকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটি সরু, তাই বালি বোঝাই ট্রাক আসা-যাওয়ায় সমস্যা হয়। এ বার রাস্তাটি চওড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খাদান মালিকেরা। গ্রামবাসী তপন দাস, বাসুদেব ঘোষ, শ্রীকান্ত মাজিদের অভিযোগ, ‘‘চাষিদের কিছু না জানিয়ে রাস্তা চওড়া করার জন্য জমি দখলের চেষ্টা হচ্ছে। তিন ফসলি জমি পাথর, বালি পড়ে নষ্ট হচ্ছে। আমরা সে সব মেনে নেওয়ার পরেও চাষিদের কিছু না জানিয়ে রাস্তা চওড়ার নামে জমি ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৫০ জন চাষি ক্ষতিগ্রস্ত। প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’
স্থানীয় সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার সকালে যন্ত্র এনে রাস্তা চওড়ার কাজ হচ্ছিল। তা আটকে দেন গ্রামবাসীর একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এই কাজে মদত দিচ্ছেন লোয়াপুর কৃষ্ণরামপুর মৌজার পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের গজানন আঁকুড়ে। তবে তা অস্বীকার করে গজাননবাবুর বক্তব্য, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি রয়েছে। সংস্কারের জন্য মাপা হয়েছে। কাজ এখনও শুরু হয়নি। জোর করে কারও জমি নেওয়া হবে না। কিছু চাষি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রশাসন কাজ বন্ধ করে দিলে, আমার কোনও আপত্তি নেই।’’
বিএলএলআরও (গলসি ১) মিন্টু বালা বলেন, ‘‘জমির মালিকদের অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিডিও (গলসি ১) বিনয়কুমার মণ্ডলের আশ্বাস, ‘‘চাষের জমির ক্ষতি হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বালি খাদানের মালিকদের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy