ঘেরাও-বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ঠিকাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল গুসকরায়। তিন কর্মীকে এই অভিযোগে ঘণ্টা পাঁচেক ঘেরাও করে রাখা হয় শনিবার। তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অন্য কর্মীরাও। বিদ্যুৎ সংস্থার পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের কর্মীদের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মেটে।
বুধবার গুসকরার এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ কাটতে গেলে কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। এ দিন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ঠিকাকর্মীদের বিরুদ্ধেই দুর্ব্যবহারের পাল্টা অভিযোগে সরব হলেন শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ জগদীশপ্রসাদ সাউ নামে এক বাসিন্দার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করতে আসেন বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকাদার সংস্থার তিন কর্মী। বছর পঁয়ষট্টির জগদীশবাবুর অভিযোগ, “স্কুটিতে ওই তিন কর্মী আসেন। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করার কথা বলায় তাঁদের পরিচয়পত্র দেখতে চাই। তাঁরা তা দেখাতে পারেননি। উল্টে, কোনও কথা না শুনে জোর করে বাড়িতে ঢুকে মিটারের কাছে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করতে যান ওঁরা। বিদ্যুতের বিল মেটানো রয়েছে, এ কথা জানানোর পরেও ওই কর্মীরা দুর্ব্যবহার করেন।’’
জগদীশবাবুর ছেলে কিসমত সাউয়ের দাবি, বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের বিল জমা দিয়েছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও শনিবার সংযোগ কাটতে এসে ওই কর্মীরা তাঁর বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। কেন এরকম আচরণ করা হচ্ছে, তা জানতে সংস্থার আধিকারিককে ঘটনাস্থলে আসার দাবি জানান তাঁরা।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়, ওই কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে এবং দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়েছে। সংস্থার গুসকরা স্টেশন ম্যানেজার সঞ্জয় মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট নথি দেখাতে না পারায় এই সমস্যা হয়েছে।’’ কর্মীদের কাছে পরিচয়পত্র ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বর্ধমানের রিজিওনাল ম্যানেজার রাজু মণ্ডলও অভিযোগ করেন, ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় ও আটকে রাখা হয়। পরে বিষয়টি বিভিন্ন পর্যায়ে জানানোর পরে কর্মীদের উদ্ধার করা গিয়েছে।’’ পরিচয়পত্র না থাকার অভিযোগ খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানায়, কোনও পক্ষই শনিবার রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy