Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ভরসা উন্নত প্রযুক্তি

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাড়ে চার মাসে ভূগর্ভস্থ খনিতে কয়লা উত্তোলনের পরিমান ছয় শতাংশ বেড়েছে।

— ফাইল চিত্র।

— ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৫৪
Share: Save:

উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও শ্রমিক-কর্মীদের কারিগরি দক্ষতা বাড়িয়ে চলতি অর্থবর্ষে কয়লা উত্তোলন ও পরিবহণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চান ইসিএল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি শ্রমিক কর্মীদের উদ্দেশ্যে এই বার্তাই দিয়েছেন সংস্থার সিএমডি প্রেমসাগর মিশ্র।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাড়ে চার মাসে ভূগর্ভস্থ খনিতে কয়লা উত্তোলনের পরিমান ছয় শতাংশ বেড়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে উত্তোলনের হার আরও বাড়াতে হবে বলে মনে করেন আধিকারিকেরা। কারণ, গত বারের তুলনায় এ বার কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫৪ মিলিয়ন টন। এই পুরো কয়লাই এ বার সরবরাহ করা হবে। অন্য দিকে বর্জ্য (ওভারবার্ডেন) পরিষ্কারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন কিউবিক মিটার।

ইসিএল কর্তৃপক্ষের আশা, বছরের শেষে এই লক্ষ্য পূরণ হয়ে যাবে। তবু তাঁরা কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে নানা খনিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সংস্থার সিএমডি প্রেমসাগর মিশ্র জানান, পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার খোট্টাডিহি ও বাঁকোলা এরিয়ার কুমারডিহি বি খনিতে আধুনিক ‘কন্টিনিউয়াস মাইনিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। সেই সঙ্গে সাতগ্রাম এরিয়ার নিমচা খোলামুখ প্রকল্পে ‘হাইওয়াল মাইনিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়লা তোলা হবে।

ইসিএল আধিকারিকেরা জানান, এখন বেশ কয়েকটি খোলামুখ ও ভূগর্ভস্থ খনিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্তোলনের হার বাড়ানো হয়েছে। তবে এই খনিগুলির শ্রমিক-কর্মীদের কারিগরি দক্ষতা বাড়িয়ে কয়লা তোলার পরিমাণ আরও বাড়ানোর কথা চলছে। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ক্যাপাসিটি ইনবিল্ড’ প্রকল্পে শ্রমিক-কর্মীদের বিশেষ কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর ফলে ঝাঁঝরা প্রকল্পে পাঁচ মিলিয়ন টন ও রাজমহল প্রকল্পে বার্ষিক ১৭ মিলিয়ন টন কয়লা বেশি উত্তোলনের পরিকল্পনা হয়েছে। সিএমডি বলেন, ‘‘সংস্থার সব স্তরের শ্রমিক-কর্মী ও আধিকারিকদের চেষ্টায় এই সব পরিকল্পনার সার্থক রূপায়ণ হবে।’’ ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের চিত্রা এবং হুড়া সি খোলামুখ খনি থেকে কয়লা তোলা চালু করার ব্যাপারে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র মিলেছে। খুব দ্রুত এই দু’টি খনির কাজ শুরু করা হবে।

তবে এ সবের পাশাপাশি এলাকার অবৈধ খাদানগুলি নিয়ে চিন্তার কথা জানিয়েছেন ইসিএলের সিএমডি। এই বেনিয়ম রুখতে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

ECL Asansol Coal Mining Modernization
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE