নিহত কাঞ্চন নুনিয়া এবং তাঁর স্বামী সুধীর নুনিয়া। —নিজস্ব চিত্র।
ব্লেজার কেনার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের ধেমোমেন কোলিয়ারি এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। পুলিশ ওই কাণ্ডে নিহতের স্বামী-সহ চার জনকে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে আসানসোলের জামুড়িয়ার নিঘা এলাকার বাসিন্দা কাঞ্চন নুনিয়ার সঙ্গে আসানসোল দক্ষিণ থানার ধেমোমেন কোলিয়ারির বাসিন্দা সুধীর নুনিয়ার বিয়ে হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সুধীরের বাড়ির উঠোনে কিছু একটা দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখেন প্রতিবেশীরা। ধোঁয়া এবং গন্ধে অনেকেই সেই সময় কৌতূহল প্রকাশ করেন। কিন্তু প্রতিবেশীদের কারও কারও বক্তব্য, তখন সুধীর জানিয়েছিলেন, বাড়িতে খাসির মাংস রান্না হচ্ছে। কিন্তু বাড়িতে ঢুকে তাঁরা বুঝতে পারেন, উঠোনে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা দেহটা কাঞ্চনের। কেউ কেউ কাঞ্চনের পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য মোবাইলে ভিডিয়োও করেন। ঘটনাস্থলেই কাঞ্চনের মৃত্যু হয়।
কাঞ্চনের পরিবারের দাবি, বিয়ের সময় তিন লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সুধীর। তার পরেও, পণের জন্য কাঞ্চনের উপর সুধীর এবং তার পরিবার চাপ দিতেন বলেও অভিযোগ। কাঞ্চনের পিসির অভিযোগ, ‘‘জামাই ২০ হাজার টাকার ব্লেজার চেয়েছিল। কিন্তু আমরা অত টাকা কোথায় পাব? চাঁদা তুলে ওর বিয়ে দিয়েছিলাম। মেয়েটা বলেছিল, টাকা না পেলে মারবে। আর তাই হল।’’
পুলিশ সুধীর, তার বাবা গুলাব, মা মঞ্জু এবং জামাইবাবুকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) কুলদীপ এস এস জানান, এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি। তবে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে চার জনকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy