মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল নেত্রীকে কখনও মা সারদা, কখনও ভগিনী নিবেদিতার সঙ্গে তুলনা করেছেন তাঁর দলের নেতা এবং মন্ত্রীরা। এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা দুর্গা’র তুলনা করা হল। আর বক্তা যিনি তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। বর্ধমানের জেলাশাসক। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
শুক্রবার বর্ধমানের স্পন্দন মাঠে ‘জেলা সৃষ্টিশ্রী’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিধান রায়। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠী সম্পর্কে উপস্থিত মহিলাদের উদ্দেশে বলতে গিয়ে জেলাশাসক বলেন, ‘‘আমরা সেই পথ পেরিয়ে এসেছি। কোন পথ? যেখানে মা, বোন, দিদিদের একত্রিত করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করতে হত। আমার যত দূর জানা আছে, পরিসংখ্যানের নিরিখে এখানে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৭০ হাজারের মতো স্বনির্ভর দল গঠন করা হয়েছে। ৭ লক্ষ মানুষ এই স্বনির্ভর দলের সঙ্গে যুক্ত। এটা আমাদের একটা শক্তি।’’ জেলাশাসক আরও বলেন, ‘‘এটা নিছক একটা ভাবনা নয়। এ আমাদের শক্তি। এই শক্তিকে আমরা কাজে লাগাচ্ছি। এই আর্থিক বছরে (২০২৩-২৪) স্বনির্ভর দল গঠনের লক্ষ্যমাত্রা ১,৭০০। আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা ১,৮৮০ কোটি টাকার মতো। আমরা ১৩০০-১৩৫০ দল গঠন করে ফেলেছি। আমি অন্য একটি অন্য একটা কথা বলব। নারী ও পুরুষ উভয়েই শক্তিশালী না হয়, তা হলে আর্থিক বা সামাজিক ভাবে সমাজ শক্তিশালী হতে পারে না।’’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর স্তুতি শোনা যায় জেলাশাসকের মুখে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক জন মহিলা। তিনি মা দুর্গার মতো সমস্ত দিকেই... আমি আপনাদের বলব, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মা দুর্গার মতো কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেন। একটা জ্বলন্ত উদাহরণ আছে আপনাদের কাছে। আমি অনুরোধ করব, সেই উদাহরণকে সামনে রেখে আপনারা এগিয়ে চলুন।”
অন্য দিকে, জেলাশাসকের এ হেন মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘আমরা বারংবার বলেছি, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্ব হিসাবে কাজ করছে। সরকার এবং দলের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। তাই এক জন সরকারি কর্মচারী হিসাবে জেলাশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্তুতি করবেন বাংলায়, এটাই তো স্বাভাবিক।’’ জেলাশাসকের মন্তব্যে সমালোচনার কিছু দেখছে না তৃণমূল। রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব প্রকল্পের রূপায়ণ করেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সুতরাং জেলাশাসক নিজে কাজ করছেন। তাই তিনি বলেছেন। এটা নিয়ে বির্তকের কী আছে!’’ যদিও বিজেপির অভিযোগ, জেলা শাসকের এই মন্তব্যে তাঁর রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাদের বক্তব্য, কয়েক দিন পরেই লোকসভা ভোট। নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে বিধান রায়কে ওই জেলার দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তুলেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy