প্রতীকী ছবি।
ডিজেলের দর ক্রমে ঊর্ধ্বমুখী। রবিবার দুর্গাপুরে ডিজেলের দর ঘোরাঘুরি করেছে ৯৯ টাকা ২৯ পয়সা থেকে ৯৯ টাকা ৩৪ পয়সার মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ভাড়া না বাড়ালে পরিষেবা বজায় রাখা সম্ভব হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মিনিবাস মালিকদের একাংশ। পাশাপাশি, ডিজেলের দাম না কমলে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বণিক সংগঠনগুলির।
রাজ্যে কোনও-কোনও জায়গায় ইতিমধ্যেই ডিজেলের দাম পেট্রলের মতো প্রতি লিটারে ১০০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। তবে রাজবাঁধে দুই প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার ডিপো রয়েছে। ফলে, পরিবহণ খরচ কম হওয়ায় দুর্গাপুরে রবিবার পর্যন্ত ডিজেলের দাম লিটার পিছু এখনও ১০০ টাকার নীচেই রয়েছে বলে পাম্প মালিকেরা জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, একটি তেল সংস্থার পাম্পে ডিজেল বিক্রি হয়েছে ৯৯ টাকা ২৯ পয়সা প্রতি লিটার দরে। দুর্গাপুরের অধিকাংশ পাম্প ওই তেল সংস্থারই। অন্য একটি তেল সংস্থার পাম্পে ডিজেল বিক্রি হয়েছে প্রতি লিটার ৯৯ টাকা ৩৪ পয়সা দরে। এ ভাবে ডিজেলের দর বাড়তে থাকায় বিক্রির পরিমাণও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা পাম্প মালিকদের একাংশের।
পেট্রলের পাশাপাশি, ডিজেলের দাম এ ভাবে বাড়তে থাকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ গ্রাহকেরাও। রবিবার সিটি সেন্টারের একটি পাম্পে ট্রাকে ডিজেল ভরতে এসেছিলেন অবিনাশ ওঝা। তিনি বলেন, “ট্রাকের ভাড়া খাটিয়ে রোজগার করি। কিন্তু দিন-দিন যা পরিস্থিতি হচ্ছে, আর পারা যাবে না মনে হচ্ছে! পরিবহণ খরচ বাড়াতে নারাজ অনেকেই। তাই সমস্যা তো হবেই।” ডিজেলের দর বরাবর পেট্রলের চেয়ে কিছুটা কম থাকে দেখে বেশি টাকা খরচ করে মাস ছয়েক আগে ডিজেলচালিত ইঞ্জিনের গাড়ি কিনেছেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী মনোজ দে। তিনি বলেন, “এমন পরিস্থিতি আসবে জানলে অকারণে বেশি টাকা দিয়ে ডিজেল ইঞ্জিনের গাড়ি কিনতাম না। এখন আর কিছু করার নেই।”
ডিজেলের এই দর নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরাও। তাঁদের আশঙ্কা, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দরে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে। এর ফলে ক্রেতারা জিনিসপত্র কেনার পরিমাণ কমাতে পারেন। ‘দুর্গাপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’-র সভাপতি কবি দত্ত বলেন, “ডিজেলের দাম বাড়লে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পরিবহণ খরচ বাড়বে। ফলে, মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ক্রেতারা বিপাকে পড়বেন। বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
এ দিকে, মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর সাব ডিভিশন মিনিবাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক অলোক চট্টোপাধ্যায়, ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কাজল দে’রা জানান, “ডিজেলের দর ১০০ টাকা পেরিয়ে যাওয়ার মুখে। এর পরেও কী ভাবে পরিষেবা চালু থাকবে, আমরা জানি না!” পাম্প মালিকদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর অন্যতম কর্তা বিশ্বদীপ রায়চৌধুরীর আর্জি, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম নাগালের মধ্যে রাখতে দ্রুত ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy