Advertisement
E-Paper

নির্দেশ সত্ত্বেও বহু বোর্ডে নেই বাংলায় লেখা

আসানসোল পুরসভা এলাকায় ১ জানুয়ারি থেকে সমস্ত বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে বাংলায় নাম লেখা বাধ্যতামূলক করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা সাইনবোর্ডে যে কোনও ভাষা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সে সবের সঙ্গে বাংলাতেও লিখতে  হবে। পুরসভার তরফে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে মাইকে ও লিফলেটে প্রচারও করতে দেখা গিয়েছে। 

সিটি বাসস্ট্যান্ডের নামও লেখা হয়নি বাংলায়। বৃহস্পতিবার আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র

সিটি বাসস্ট্যান্ডের নামও লেখা হয়নি বাংলায়। বৃহস্পতিবার আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র

সুশান্ত বণিক

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০১:০৩
Share
Save

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে বাংলা হরফে লেখা রাখতে হবে, নির্দেশ দিয়েছিল পুরসভা। বছরের দু’টি দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই নির্দেশ মানার ক্ষেত্রে বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়নি আসানসোলে। বৃহস্পতিবার শহর ঘুরে হাতে গোনা কয়েকটি দোকানেই এমন লেখা দেখা গিয়েছে। পুরসভার তত্ত্বাবধানে থাকা নানা বিভাগের বোর্ডেও বাংলায় লেখা হয়নি এখনও। পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, দ্রুত এই ত্রুটি সংশোধন করার ব্যবস্থা হচ্ছে।

আসানসোল পুরসভা এলাকায় ১ জানুয়ারি থেকে সমস্ত বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে বাংলায় নাম লেখা বাধ্যতামূলক করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা সাইনবোর্ডে যে কোনও ভাষা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সে সবের সঙ্গে বাংলাতেও লিখতে হবে। পুরসভার তরফে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে মাইকে ও লিফলেটে প্রচারও করতে দেখা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার পুরসভায় গিয়ে দেখা যায়, আধিকারিক ও বিভন্ন দফতরে নামের বোর্ডে বাংলায় লেখা হয়েছে। কিন্তু শহরের নানা প্রান্তে তা মানা হচ্ছে না। আসানসোল বাজারের ব্যবসায়ী দীনেশ শর্মার বক্তব্য, ‘‘নির্দেশ পেয়েছি। নতুন বোর্ড লিখতে সময় লাগবে।’’ পুরসভার তত্বাবধানে থাকা নানা জায়গাতেই এই নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ শহরবাসীর অনেকের। তাঁদের দাবি, আসানসোলের সিটি বাসস্ট্যান্ডের নাম এখনও বাংলায় লেখা হয়নি। রবীন্দ্রভবন লাগোয়া একটি অনুষ্ঠানকক্ষের নামও বাংলায় লেখা হয়নি। অফিস সুপারন্টেন্ডেন্ট তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এই ত্রুটি দ্রুত সংশোধন করা হবে।’’

অনেক ব্যবসায়ী অবশ্য নির্দেশ মেনেছেন। পুরসভার নির্দেশ পেয়েই তড়িঘড়ি দোকানের সাইনবোর্ডে বাংলা হরফে নাম লিখেছেন ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের ব্যবসায়ী সন্তোষ দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘অভিনন্দনযোগ্য সিদ্ধান্ত। আমি বাংলায় লিখেছি।’’ একটি বস্ত্র বিপণির কর্ণধার বিমল মেহারিয়া বলেন, ‘‘আমরা অনেক আগেই দোকানের নাম বাংলায় লিখেছি। পুরসভার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত।’’

পুর কর্তৃপক্ষ জানান, ৩০ ডিসেম্বর থেকে নির্দেশ নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের পুরনো বোর্ড পাল্টে ফেলার জন্য আরও কিছুটা সময় দেওয়া হচ্ছে। মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, সিদ্ধান্ত প্রত্যেককেই মেনে চলতে হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের কাজ শুরু হবে। তার আগে প্রত্যেককে বাংলায় সাইনবোর্ড লিখে সেই ছবি তুলে পুরসভায় জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে পুরসভার সংশ্লিষ্ট অফিসারেরা এলাকা ঘুরে নিশ্চিত হওয়ার পরেই ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হবে।

Bengali Board mother tongue First Language

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}