দার্জিলিং মোড়ে। নিজস্ব চিত্র।
পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কের দার্জিলিং মোড়, পশ্চিম বর্ধমান তো বটেই। দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে যাওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সকাল থেকেই এখানে বাস ধরতে বহু মানুষ আসেন। তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা হয়। যাত্রী প্রতীক্ষালয় থাকলেও, এই স্টপেজে নেই কোনও শৌচালয়। ফলে, সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। পাশাপাশি, প্রতীক্ষালয় ও এই মোড়ে পথবাতি নেই। ফলে, সন্ধ্যা নামলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন যাত্রীরা। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের পরিষেবার উন্নতির দাবি তুলেছেন নিত্যযাত্রীরা। কাঁকসা ব্লক প্রশাসন দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
পরিবহণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু উত্তরবঙ্গই নয়। বীরভূম, মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় যাওয়ার জন্য পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই রাস্তা শুরুই হয়েছে কাঁকসার দার্জিলিং মোড় থেকে। যাত্রীদের সুবিধার্থে বছরতিনেক আগে কাঁকসা ব্লক প্রশাসনের তরফে এখানে একটি প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হয়। রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্টপেজে কোনও শৌচালয় না থাকা। এর জেরে, বিশেষ করে সমস্যায় পড়তে
হয় মহিলাদের।
কর্মসূত্রে প্রতিদিন সিউড়ি যাতায়াত করেন কাঁকসার বাসিন্দা তনুশ্রী মণ্ডল। তিনি জানান, অনেক সময় বাস পেতে দেরি হয়। শৌচালয় যাওয়ার প্রয়োজন হলে, খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। পাশের হোটেলে যেতে হয় অনেক যাত্রীকে। একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন অভিষিক্তা ঘোষও। তিনি বলেন, “এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজে শৌচালয় থাকা খুব দরকার।” শৌচালয় না থাকায় অনেকেই যত্রতত্র নোংরা করে ফেলছেন বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা তপন মণ্ডল, বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, “যাত্রীদের সমস্যা তো হচ্ছেই। পাশাপাশি, এলাকার বাসিন্দারাও সমস্যার শিকার হচ্ছেন। কারণ, এলাকাকে দূষণমুক্ত রাখতে শৌচালয়ের প্রয়োজন।” শৌচালয় তৈরির পাশাপাশি, আলোর বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন সকলে।
এ বিষয়ে বিডিও (কাঁকসা) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy