Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪
Duarey Sarkar

দুয়ারে সরকারে ভিড়, চিন্তা সংক্রমণ নিয়ে

এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পে দু’লক্ষ ১৮ হাজার জন আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।

জামুড়িয়ার বোরিংডাঙার কর্মসূচিতে। নিজস্ব চিত্র।

জামুড়িয়ার বোরিংডাঙার কর্মসূচিতে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৪৩
Share: Save:

‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি উপলক্ষে জেলার নানা প্রান্তে ভিড় হচ্ছে জনতার। এই পরিস্থিতিতে কোভিড স্বাস্থ্য-বিধি কতটা রক্ষিত হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জনতারই একাংশ। বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিস্থিতি দেখে চিন্তা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের বিধায়কেরাও। বিষয়টি মেনে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা জুড়ে মোট ৯৬টি কেন্দ্র এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পে দু’লক্ষ ১৮ হাজার জন আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পেই আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন এক লক্ষ ৪৮ হাজার জন। মঙ্গলবার জামুড়িয়ার বোরিংডাঙা উচ্চবিদ্যালয়ে কর্মসূচি খতিয়ে দেখতে যান জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি। সেখানে জামুড়িয়ার রাজেশ বর্মা জানান, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে আবেদনপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু ভিড় দেখে স্বাস্থ্য-বিধির কথা মাথায় রেখে তিনি বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। শেখ আবু হোসেন নামে এক জন বলেন, ‘‘এক দিনেই অনেককে আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। ফলে, ব্যাপক ভিড়ে দাঁড়াতে কষ্ট হচ্ছে। করোনা-পরিস্থিতিতে এমন ভিড় দেখে চিন্তাও হচ্ছে।’’ এই পরিস্থিতিতে জামুড়িয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খানের দাবি, ‘‘ভিড়ের কথা মাথায় রেখে এই কর্মসূচির কেন্দ্র এবং আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আরও বাড়ানো উচিত।” রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্ত জানান, তাঁরা দলগত ভাবে জেলা প্রশাসন-সহ নানা জায়গায় পুরসভা এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ও পঞ্চায়েত এলাকায় প্রতিটি সংসদে কেন্দ্র চালু করার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা, ‘‘এমনটা না হলে দ্রুত করোনা সংক্রমণ ছড়াবে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় সংক্রমিতের হার, এই মুহূর্তে ২.৬ শতাংশ। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে দৈনিক করোনা আক্রান্ত ভর্তি হচ্ছেন ৫০ জনের আশপাশে। এই পরিসংখ্যান ‘আশাব্যঞ্জক’ বলে দাবি চিকিৎসকদের। কিন্তু পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের কোভিড ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-অর্ডিনেটর সমরেন্দ্রকুমার বসু বলেন, ‘‘করোনার প্রকোপ তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কমেছে। কিন্তু ভিড় না আটকানো গেলে, সংক্রমণ আচমকা বাড়তে পারে।’’

জেলাশাসক পূর্ণেন্দুবাবুও বলেন, “আজ আমি নিজে জামুড়িয়ায় একটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখেছি, অভিযোগ ঠিকই।’’ কিন্তু তাঁর আশ্বাস, ‘‘যাতে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলা যায়, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Duarey Sarkar Coronavirus in West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy