সৈয়দ মহম্মদ হোসেন।
সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক হলেন সৈয়দ মহম্মদ হোসেন। কৃষকসভার জেলা সম্পাদক ছিলেন গলসির ওই নেতা। রবিবার দলের জেলা সম্মেলন শেষে ৫৫ জনকে নিয়ে জেলা কমিটি গড়া হয়। ১২ জন নতুন মুখও রয়েছে। সদ্য প্রাক্তন জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিকের দাবি, ‘‘এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নতুনদের হাতে দলের দায়িত্ব দিতে হবে।’’
তবে তাঁকে পদ থেকে সরানো নিয়ে রাজ্যের নেতারা দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন বলে দাবি দলেরই একাংশের। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, ৬৯ বছরের অচিন্ত্যকে সামনে রেখেই নতুন জেলা কমিটি গড়া হবে। ৭০ পেরনোর পরে নতুন কাউকে বেছে নেওয়া হবে। কিন্তু জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে ঠিক হয়, জেলা কমিটিতে সত্তরোর্ধ্ব কেউ থাকতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে ছ’মাস বা এক বছরের জন্য কাউকে সম্পাদক করার চেয়ে নতুন মুখ তুলে আনায় জোর দেন অনেকে। বৈঠকেও আলোচনা হয়। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতাও ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অচিন্ত্যই জেলা সম্পাদক থাকুন। কিন্তু কয়েকজন আপত্তি জানান। রাজ্য কমিটি বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি।’’
তবে পরবর্তী দায়িত্ব কে নেবে, তা নিয়ে নেতৃত্বকে বিশেষ ভাবতে হয়নি। সাধারণত রাজ্য কমিটির সদস্যকেই জেলা সম্পাদক করা হয়। আর পূর্ব বর্ধমানে কৃষকসভা থেকে সম্পাদক বেছে নেওয়ারও রীতি রয়েছে। সেই সূত্রেই জেলার নতুন সম্পাদক হন বছর ষাটেকের সৈয়দ হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘গণ আন্দোলন আরও বাড়াতে হবে। দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করব।’’ বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়, কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাওয়া, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হবে কি না, পুরভোটের আগে অনেক কিছুই ভাবাচ্ছে সংগঠনকে। নতুন সম্পাদকের অবশ্য দাবি, ‘‘পরিবেশ অনুকূল হচ্ছে। অত্যাচারিত-নির্যাতিত মানুষ আর কতদিন মুখ বুজে সহ্য করবেন?’’
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এসএফআই থেকেও জেলা কমিটিতে দু’জনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তিন জন সত্তরোর্ধ্ব, কাটোয়ার অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, মেমারির সুকান্ত কোনার ও মঙ্গলকোটের দুর্যোধন সরকে জেলা কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy