চলছে বিক্ষোভ-মিছিল। নিজস্ব চিত্র
সিপিএম নেতার ছেলে খুনে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বুধবার আউশগ্রাম ও গুসকরায় বিক্ষোভ মিছিল করল সিপিএম। আউশগ্রাম থানার সামনে প্রতিবাদ সভাও করা হয়। ছিলেন সিপিএমের গুসকরা পশ্চিম এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুরেন হেমব্রম, গৌতম রায়েরা। সভায় ছিলেন নিহত সঞ্জীব মণ্ডলের বাবা সিদ্ধেশ্বর মণ্ডলও।
মঙ্গলবার মৃতের ভাই চিরঞ্জীব মণ্ডল দাবি করেছিলেন, দাদার খুনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। এ দিন আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন, মেসেজের উত্তর দেননি তিনি। কিন্তু এ দিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে গৌতম দাবি করেন, ‘‘সঞ্জীবকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করার ব্যাপারে দল চিন্তাভাবনা করছিল। সেই কারণেই পরিকল্পিত ভাবে ওঁকে খুন করে দেওয়া হল।’’ সঞ্জীব দলের হয়ে অনেক সামাজিক কাজ করতেন। অনেককে দলে ফিরিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সিদ্ধেশ্বর শুধু বলেন, ‘‘সবই দলের সিদ্ধান্ত।’’
সিপিএম নেতা সুরেন হেমব্রমের দাবি, ‘‘আউশগ্রামের আন্দোলনে মূল ভূমিকা নেন আমাদের নেতা সিদ্ধেশ্বর মণ্ডল। বারবার তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে। বাড়িতে হামলা হয়েছে। তাঁকে দমানোর জন্যই তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে।’’ পুলিশ যথাযথ ভূমিকা নিচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি। তৃণমূলের আউশগ্রাম অঞ্চল সভাপতি ইন্দাদুল শেখের পাল্টা দাবি, ‘‘সিপিএম মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা রাজনীতির খেলায় নেমেছে। তাই ওদের মিছিলে সাধারণ মানুষ যোগ দেননি। বাইরে থেকে লোক এনে মিছিল করতে হয়েছে। আমরাও চাই প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হোক। পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।’’
সোমবার রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ঘরে সঞ্জীবের নিথর দেহ মেলে। পুলিশের প্রাথমিক দাবি ছিল, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে টাকা বাকি থাকা নিয়ে অশান্তি জেরে ওই ঘটনা ঘটে। পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। জেলা পুলিশের ডিএসপি শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ বীরেন্দ্র কুমার পাঠক বলেন, ‘‘ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy