পর্যটকহীন মাইথনে মিলছে না নৌকা রক্ষণাবেক্ষণের খরচও। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের পর্যটন স্থানের মানচিত্রের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ডিভিসি-র মাইথন জলাধার। আর এই জলাধারকে ঘিরে সারা বছর ধরে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। সেই পর্যটকেরা মাইথনের নৌকাচালক, হোটেল, রেস্তরাঁ, পরিবহণ ব্যাবসায়ী এবং কর্মীদের আয়ের উৎস। কিন্তু লকডাউনের জন্য মাইথন জলাধারের চেহারা বদলে দিয়েছে। পর্যটকহীন হয়েছে মাইথন জলাধার। ফলে চিন্তায় পড়েছেন পর্যটন শিল্পে যুক্ত সকলেই।
মাইথনের এই জলাধারের নৌকো চালকরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর শীত এবং বর্ষাতেই মূলত পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। করোনার কারণে গত বর্ষা এবং শীতে তেমন উপার্জন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ঘিরে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তাঁরা। একদিকে পর্যটক না থাকায় নেই রোজগার। অন্যদিকে, জলাধারের জলে ভেসে থাকা সারি সারি নৌকার রক্ষণাবেক্ষণের খরচও বইতে হচ্ছে। ফলে সমস্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
মাইথনের এক নৌকো চালক মহম্মদ শফিক আনসারি বলেন, ‘‘এই মাইথনে পর্যটকদের ভরসায় সকলের সংসার চলে। আর লকডাউনের জেরে পর্যটকদের আগমন বন্ধ। আমাদের রোজগারও বন্ধ। কী খাব, ভাবতে হচ্ছে। জলে নৌকা দাঁড়িয়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে নৌকা। রক্ষণাবেক্ষণের টাকাও নেই। রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ, এই সময়ে আমাদের নিয়ে একটু চিন্তাভাবনা করে কিছু সাহায্য দিন।’’ তিনি জানান, প্রায় ১২০০ পরিবার পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু রোজগার নেই বলে মাছ ধরে, সব্জি বিক্রি করে কোনও রকমে সংসার চালোনার চেষ্টা করছে।’’
মাইথনের হোটেল ব্যবসায়ী অনুজ দে বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকার নির্ধারিত সমস্ত বিধি মনেই গত মরসুমে হোটেল খুলেছিলাম। কিন্তু অতিমারির কারণে খুব কম পর্যটকই এসেছেন।’’ করোনার কারণে মাইথনের পর্যটনশিল্পে সঙ্কট প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ আরমান খান বলেন, ‘‘গতবার লকডাউনের সময় সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ বারও আমরা খুব তাড়াতাড়ি ওই মানুষগুলির পাশে দাঁড়াব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy