রানিগঞ্জের হাটতলা। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আনাজ বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের ঠিক করা জায়গায় মঙ্গলবার গেলেন না পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ হাটতলার আনাজ বিক্রেতারা। এ দিন হাটতলাতেও বাজার বসেনি। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েন শহরবাসী।
আসানসোল পুরসভা জানায়, গত সোমবার মেয়র পারিষদ (জল) পূর্ণশশী রায়, খাদ্য দফতরের কর্তারা প্রমুখ শিবমন্দির রোডের ওই হাট পরিদর্শন করেন। তার পরেই প্রশাসন শ’তিনেক আনাজ বিক্রেতাকে রাজারবাঁধ লাগোয়া মাঠে বসার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, প্রায় কুড়ি জন মাছ বিক্রেতা এবং দশ জন মাংস বিক্রেতাকে পুরনো পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।’’
তবে এ দিন বাজার জায়গাতেই নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে বসার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নিয়ে দিনভর মাইকে প্রচারও চালায় পুলিশ, প্রশাসন।
কিন্তু মঙ্গলবার দেখা যায়, আনাজ বিক্রেতা রাজারবাঁধ বা রানিগঞ্জ হাটতলা, কোথাও বসেননি। উল্টে, বিক্রেতাদের একাংশ হাটতলায় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, রাজারবাঁধে বিদ্যুৎ, ছাউনি-সহ উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। অমর সিংহ, নাদিম খান-সহ কয়েক জন বিক্রেতার ক্ষোভ, ‘‘রাজারবাঁধে ঘিঞ্জি গলি দিয়ে যেতে হবে। ওখানে আনাজই বিক্রি হবে না। আনাজ নষ্ট হবে।’’ বিক্রেতাদের দাবি, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন না ঘটানো হলে, বাজার স্থানান্তর করা হবে না।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তও। তাঁর কথায়, ‘‘রাজারবাঁধের মাঠটি তিনশো জন বিক্রেতা বসার পক্ষে অত্যন্ত ছোট। ফলে, সেখানে ক্রেতা, বিক্রেতা, কেউই সামাজিক দূরত্ব রেখে বেচা-কেনা করতে পারবেন না।’’ তাঁর প্রস্তাব, ‘‘প্রশাসন সার্কাস মাঠ, রেল মাঠ, শিশুবাগান মাঠ ও ষষ্ঠিগড়িয়ায় হাট স্থানান্তর করতে পারে। এ বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসনের কাছেও প্রস্তাব দিয়েছি।’’
বিডিও (রানিগঞ্জ) অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আসানসোল পুরসভার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটিয়ে স্থানান্তরিত করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
পুরসভা ও প্রশাসন সূত্রে খবর, হাটটি অন্যত্র স্থানান্তিরত করা হবে। পূর্ণশশীবাবু বলেন, “বুধবার (আজ) থেকে সার্কাস মাঠে হাট বসবে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।’’
তবে এ দিন বাজার না বসায় সমস্যায় পড়েন শহরবাসী। জীবনকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, অলোক চট্টোপাধ্যায়-সহ ক্রেতাদের বক্তব্য, ‘‘এটি রানিগঞ্জের সব থেকে বড় আনাজ বাজার। এ দিন বাজার না বসায় খুবই সমস্যায় পড়তে হল।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy