প্রতীকী ছবি
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের দুই করোনা-আক্রান্ত। বৃহস্পতিবার কাঁকসার মলানদিঘির ‘কোভিড হাসপাতাল’ থেকে তাঁরা দু’জন এবং আসানসোলের এক বাসিন্দা ছাড়া পান। দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন জনেরই শেষ করোনা-পরীক্ষার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসার পরে, এ দিন তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছাড়া পাওয়ার সময়ে তাঁদের চকোলেট ও ফুলের তোড়া দিয়ে এবং হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা।
জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘খণ্ডঘোষের দু’জনের দ্বিতীয় বার নমুনা পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ ফল এসেছে। তাই তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল। তবে খণ্ডঘোষের ওই এলাকা গণ্ডিবদ্ধ থাকবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই দু’জনের সংস্পর্শে থাকা ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সকলের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে। তবে তাঁদের এখনই ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্র থেকে ছাড়া হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ২২ এপ্রিল খণ্ডঘোষের এক ব্যক্তির শরীরে করোনার প্রমাণ মেলে। ২৬ এপ্রিল তাঁর নিকটাত্মীয় এক বালিকারও করোনা-পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে। দু’জনকেই কাঁকসার ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এ দিন ওই হাসপাতালের সুপার বোনাপার্ট চৌধুরী বলেন, ‘‘এ নিয়ে ছ’জন করোনা-আক্রান্তের চিকিৎসা হল এখানে। এখন আর করোনা-আক্রান্ত কেউ নেই। যাঁরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন, প্রত্যেকের মনোবল বাড়াতে আমরা শুভেচ্ছা জানিয়েছি।’’
এ দিন দুর্গাপুর থেকে দু’জনকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স প্রথমে পৌঁছয় খণ্ডঘোষের গ্রামে। কিন্তু তাঁদের বাড়ি তালাবন্ধ। কারণ, পরিবারের বাকিরা রয়েছেন বর্ধমানের ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে। তাই তাঁদেরও বর্ধমানে আনা হয় এ দিন। খণ্ডঘোষের ওই গ্রামের বাসিন্দা, জেলা পরিষদ সদস্য অপার্থিব ইসলাম বলেন, ‘‘শুক্রবার ওঁদের বাড়ি ফেরার কথা। গ্রামের মানুষজন তাঁদের স্বাগত জানাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy