ছবি: সংগৃহীত।
‘গণ্ডিবদ্ধ’ এলাকার বাইরেও বিধিনিষেধ জারি করতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বুধবার থেকে শহরের দু’নম্বর ওয়ার্ড পুরোপুরি ‘গণ্ডিবদ্ধ’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে যাতায়াতের সমস্ত পথ ‘সিল’ করে দিয়েছে পুলিশ। শহরে ‘ড্রোন’ উড়িয়েও জমায়েতের খোঁজ চলছে। জেলা জুড়ে করোনা-পরীক্ষা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরও।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে কাটোয়া, কালনা ও বর্ধমান সদর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দিনে একশোরও বেশি করোনা-পরীক্ষা করা হবে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার থেকে যে ‘সিবি-ন্যাট’ পদ্ধতিতে দিনে চার-পাঁচটি করে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছিল, দ্বিগুণ করা হবে সেই সংখ্যাও। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, “জেলা স্বাস্থ্য দফতর যে নমুনা সংগ্রহ করবে সেগুলি কলকাতায় পরীক্ষা করানো হবে। আর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘ফ্লু-ক্লিনিক’-এ যাঁরা দেখাতে আসবেন, তাঁদের নমুনা পরীক্ষা মেডিক্যাল কলেজেই হবে।’’
সোমবার রাতে বর্ধমান শহরের দু’নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লির এক মহিলার দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। বর্তমানে কাঁকসার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। সরাসরি তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন এমন পাঁচ জনকেও গাংপুরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আবার ওই পাঁচ জনের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ৪২ জনের নামের তালিকাও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বর্ধমান থানা। সিএমওএইচ বলেন, “প্রত্যেককে হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তিরা যাতে স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ মানেন তার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।’’
এ দিন জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “গণ্ডীবদ্ধ এলাকার বাইরে রয়েছে খোসবাগান এলাকা। কিন্তু ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ-কে অনুরোধ করব, চিকিৎসকেরা যেন খোসবাগানে আপাতত ‘প্রাইভেট প্র্যাকটিস’ বন্ধ রাখেন। ওই অনুরোধ না মানলে, প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ‘গণ্ডিবদ্ধ’ এলাকায় ওষুধের দোকান ছাড়া, অন্য কোনও দোকান টানা ২১ দিন ধরে খোলা যাবে না। এমনকি, রেশনের দোকানও খুলতে পারবেন না ডিলারেরা। ‘গণ্ডিবদ্ধ’ এলাকার বাইরেও নির্দিষ্ট এলাকায় কোনও আনাজের দোকান খোলা যাবে না। অন্য দোকানও শর্ত মেনে খুলতে হবে। যাতায়াতের ক্ষেত্রেও পুলিশের নজরদারি বাড়বে।
এ দিন গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় গিয়ে প্রচার চালায় বর্ধমান থানার পুলিশ। প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দু’টি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হবে। কোনও কারণে ফোনে যোগাযোগ করতে না পারলে ব্যারিকেডের বাইরে ২৪ ঘণ্টা পুলিশকর্মীরা থাকবেন। তাঁদের বললেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে যাবে। স্থানীয় বাসিন্দা সুরঞ্জনা দাস, রাজু মণ্ডলেরা জানান, বুধবারই পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করে দরকারি নানা জিনিস পেয়েছেন তাঁরা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy