Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
quarantine

‘ঘরবন্দি’ কত দিন, নোটিস দেওয়ালে

জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কম-বেশি জেলার সব গ্রামেই ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার সংখ্যা বাড়ছে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০২:৩৪
Share: Save:

বারবার সতর্ক করার পরেও ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকা মানুষজনের রাস্তায় বেরনো আটকাতে পারছে না প্রশাসন। এর আগে তাঁদের অনেকের কাছ থেকে না বেরোনোর মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল। শাস্তির বিধানও জানানো হয়। তাতেও ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকা মানুষজন দমছেন না দেখে তাঁদের বাড়িতে নোটিস টাঙানোর কথা ভেবেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কুড়ি হাজারের মতো নোটিস ছাপানোও হয়ে গিয়েছে।

শুক্রবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, “নানা বিষয় মাথায় রেখে জেলা স্বাস্থ্য মনিটরিং কমিটির বৈঠকে হোম কোয়রান্টিনে থাকা বাসিন্দাদের বাড়িতে নোটিস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নোটিস সাঁটাতে শুরু করেছেন।’’ জেলায় ভিন্‌ রাজ্য থেকে আসা তিরিশ হাজারের মানুষ ও ভিন্‌ দেশ থেকে আসা ১৮৯ জন ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ রয়েছেন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত জেলায় পাঁচ হাজারের মতো বাড়িতে ওই নোটিস টাঙানো হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কম-বেশি জেলার সব গ্রামেই ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের উপরে নজরদারি চালাচ্ছেন আশাকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। কিন্তু ‘লকডাউন’ হওয়ার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। সেই সুযোগে ‘ঘরবন্দি’রাও বেশির ভাগ সময়ে স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ না মেনে বেরিয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ। বেশ কিছু এলাকায় তাঁদের রীতিমতো পাড়ায় বা ক্লাবে আড্ডা দিতে দেখা গিয়েছে।

প্রশাসনের দাবি, এই ব্যক্তিদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ না থাকলে কী-কী শাস্তি হতে পারে সেটাও জানানো হয়েছে। তার পরেও ‘ফাঁক’ থেকে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ‘হোম কোয়রান্টিন’ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে রাস্তায় ঘুরে বেরাচ্ছেন তাঁরা। আশেপাশের লোকজনও বিষয়টি জানতে পারছেন না। ফলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। সে কারণেই জেলা প্রশাসন ঠিক করেছে, বাড়ির দরজায় নোটিস টাঙিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে, কোন তারিখ থেকে কোন তারিখ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকতে হবে।

‘কোভিড-১৯’ (কোয়রান্টিন নোটিস) শীর্ষক নোটিসে লেখা থাকছে, ‘অনুগ্রহ করে কেউ এই বাড়িতে আসবেন না। কেউ এ বাড়ি থেকে বেরোবেন না। এই বাড়িটি কোয়রান্টিনের আওতায় আছে’। তার পরেই কোন তারিখ থেকে কোন তারিখ পর্যন্ত নির্দেশ কার্যকর সেটা জানানো হচ্ছে। কোনও ব্যক্তি ভিন্‌ দেশ বা ভিন্‌ রাজ্য থেকে এলে তাঁর নাম লিখে ও সংশ্লিষ্ট বাড়ির কত জন ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকছেন সেটাও জানানো হচ্ছে। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম বলেন, “যে সব স্বাস্থ্যকর্মী বা আশাকর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন, তাঁদের পক্ষেও এ বার ‘কোয়রান্টিন’-এ থাকা বাড়িটা খুঁজে বের করা তুলনামূলক সহজ হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy