প্রতীকী ছবি।
কালনা শহরে করোনা-পরীক্ষার হার বাড়াতে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার স্বাস্থ্য-কর্তাদের সঙ্গে মহকুমা প্রশাসনের একটি বৈঠকে দু’টি জায়গায় শিবির করে সাধারণ মানুষের করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কালনা মহকুমা হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এলাকায় প্রায় সাড়ে আট হাজার জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও হয়েছে। প্রশাসনের একাংশের দাবি, শহরে অনেকের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করানোর বিষয়ে চরম অনীহা রয়েছে। রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এলে সামাজিক হেনস্থার শিকার হতে হবে, এই ভেবে অনেকেই পরীক্ষা করাতে চাইছেন না বলে জেনেছেন আধিকারিকেরা। ফলে, শহরে পরীক্ষার হার কম। অথচ, রাস্তাঘাট, বাজার-দোকানে রীতিমতো ভিড় হচ্ছে। তাই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কি না, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে স্বাস্থ্য-দফতরের কর্তাদের।
মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার শিবিরের জন্য প্রথমে বেছে নেওয়া হয়েছে জনবহুল চকবাজার এলাকাকে। প্রতি রবিবারই নিয়ম করে চকবাজারে স্বাস্থ্যকর্মীরা এই কাজ করবেন। এ ছাড়া, অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে সোম থেকে শনিবার এই শিবির বসবে। মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘শিবিরগুলিতে অ্যান্টিজেন টেস্ট হবে। দৈনিক এক-একটি জায়গা থেকে ৫০ বা তার বেশি জনের পরীক্ষা করানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রয়োজনে শিবিরের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’’ তিনি জানান, উপসর্গ রয়েছে বা করোনা-আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন মানুষজনেরই শিবিরে পরীক্ষা করা হবে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যাতে প্রয়োজনে হাসপাতালে গিয়ে লালারসের নমুনা দেন সে ব্যাপারেও প্রচার চালানো হবে।
সুপারের দাবি, শহরে এ ধরনের শিবির প্রথম হচ্ছে। প্রয়োজনে, তা গ্রামীণ এলাকাতেও করা যেতে পারে। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘সংক্রমিতদের চিহ্নিত করতে না পারলে সংক্রমণ ঠেকানো মুশকিল। তাই ভাল হারে পরীক্ষা করানো জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy