হাসপাতালে বিক্ষোভের মুহূর্তে। নিজস্ব চিত্র
ফের করোনার টিকা দেওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। এর জেরে টিকা দান বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। যান ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় সুব্বা। বিক্ষোভকারীরা তাঁকে ঘিরে ক্ষোভ জানান। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে টিকা দেওয়া নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকা পাওয়ার আশায় প্রায় প্রতিদিনই মাঝ রাত থেকে অনেকে লাইন দেন। সকাল ১০টার সময়ে কাউন্টার খোলার পরে জানিয়ে দেওয়া হয়, কাদের টিকা দেওয়া হবে। এর পরেই বাকিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতালে আসতে হয় পুলিশ, স্থানীয় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপেন মাজিকে। বৃহস্পতিবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এ দিন অশান্তি চরমে ওঠে। এ দিনও মাঝ রাত থেকে দীর্ঘ লাইন পড়ে হাসপাতালের কাউন্টারের সামনে। অভিযোগ, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কাউন্টারের সামনে হাসপাতালের কর্মীরা একটি তালিকা টাঙিয়ে জানিয়ে দেন, তালিকায় যাঁরা আছেন তাঁরা ছাড়া বাকিদের প্রতিষেধক দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ, ভাঁড়ারে টিকা মজুত নেই।
এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঘণ্টার পরে ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অপেক্ষারত মানুষজন। তাঁদের বক্তব্য, সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা না করা হলে তাঁরা কাউকে তা দিতে দেবেন না। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে তাঁরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে টিকা দান বন্ধ করে দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, টিকা দান নিয়ে দুর্নীতি চক্র রয়েছে হাসপাতালে। এ দিনও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কারও কারও হাতে বেআইনি ভাবে টোকেন পৌঁছে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সুপারের কাছে গিয়েও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। আসেন কাউন্সিলর। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসতে হয় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে। তিনি কথা বলেন বিক্ষোভকারী ও হাসপাতাল সুপার ধীমান মণ্ডলের সঙ্গে। সুপারের কাউন্টারের সামনে এসে বিক্ষোভকারীদের তিনি পরিস্থিতির কথা বোঝানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন।
কাউন্সিলর বলেন, ‘‘দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন টিকা দান নিয়ে বেশি কিছু অনিয়মের অভিযোগ আমার কাছে করেছেন। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। আগাম নোটিস দিয়ে কাদের টিকা দেওয়া হবে তা জানিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেব। তা হলেই ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যাবে।’’ হাসপাতাল সুপার ধীমানবাবু বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাদের টিকা দিতে হবে তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী টিকা দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy