চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার দিনভর নানা পদক্ষেপ করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। তবে জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) শশাঙ্ক শেঠি জানান, জন-সচেতনতা প্রচারেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
আচমকা কোনও জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা মোকাবিলার লক্ষ্যে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে এ দিন বৈঠক হয়। আসানসোল বিপর্যয় মোকাবিলা দলের অফিসার-ইন-চার্জ তমোজিৎ চক্রবর্তী জানান, প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি, জন-সচেতনতা বৃদ্ধির উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে সবসময় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন ও বিমানবন্দরে। তমোজিৎবাবু বলেন, ‘‘জেলার পাঁচটি সীমানা এলাকাতেও কড়া নজরদারি চলছে।’’ জেলাশাসক জানান, খুব দরকার না হলে আধিকারিকদের যৌথ বৈঠকও যতটা সম্ভব কম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সরকারি দফতরে ঢোকার আগে সাধারণ মানুষকে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘জামগ্রাম আঞ্চলিক হাইস্কুল ও কাল্লা সেন্ট্রাল হাসপাতাল লাগোয়া আবাসন কলোনিতে কোয়রান্টিন কেন্দ্র দু’টি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।’’ জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয় পাল জানান, জামগ্রাম আঞ্চলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে জেলার পাঁচ সীমানা এলাকায় স্বাস্থ্য দফতর নজরদারি চালায়। পুলিশও সীমানা এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে। আসানসোল পুরসভা শহরের বিভিন্ন এলাকায় জন-সচেতনতা তৈরিতে মাইকে করে প্রচার চালিয়েছে।
তবে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘গুজবের বশে জেলা হাসপাতালে অনেকেই অযথা ভিড় করছেন। অবিলম্বে এই প্রবণতা হওয়া দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy