Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ব্যবস্থার আশ্বাস এনআইটি-র
Coronavirus

হস্টেল বন্ধের সিদ্ধান্তে চিন্তায় বিদেশি পড়ুয়ারা

এনআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন প্রায় ৫০ জন বিদেশি পড়ুয়া রয়েছেন হস্টেলে।

 রয়ে গিয়েছেন বেশ কিছু পড়ুয়া।  দুর্গাপুর এনআইটি-তে। নিজস্ব চিত্র

রয়ে গিয়েছেন বেশ কিছু পড়ুয়া। দুর্গাপুর এনআইটি-তে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ০০:৪৭
Share: Save:

করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হস্টেল খালি করারও নির্দেশ জারি করেছেন কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এনআইটি) বিদেশি পড়ুয়ারা। অন্য পড়ুয়াদের অনেকেও জানান, ‘ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ’-এর দিন স্থির থাকায় তাঁদের পক্ষেও হস্টেল ছেড়ে যাওয়া মুশকিল। এনআইটি কর্তৃপক্ষের অবশ্য আশ্বাস, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এনআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন প্রায় ৫০ জন বিদেশি পড়ুয়া রয়েছেন হস্টেলে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। এ ছাড়াও নেপাল, মরিশাসের পড়ুয়াও রয়েছেন। শনিবার দুপুরে হস্টেল খালি করার নির্দেশ জারি হয়। তার পরেই ওই পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, এত অল্প সময়ের জন্য দেশে গিয়ে ফের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হস্টেলে ফেরা তাঁদের পক্ষে সমস্যার। এপ্রিলের শেষে সিমেস্টারের পরীক্ষা রয়েছে। তার আগে ক্লাস হবে। ফলে, সময়ে না ফিরতে পারলে তাঁরা বিপাকে পড়বেন বলে দাবি করেন।

এনআইটি-র আন্তর্জাতিক হস্টেলে বর্তমানে বাংলাদেশের ১৮ জন ছাত্র ও ছ’জন ছাত্রী রয়েছেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, সিলেটের বাসিন্দা সৈকত চৌধুরী জানান, এখন দেশে ফিরলে সেখানে সরকার ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখবে। ফেরার পরে আবার এ দেশে ফের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। ফলে, ২৮ দিন এমনিতেই পেরিয়ে যাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হস্টেলে ফেরা যাবে কি না, সে নিয়ে সংশয়ে তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘তিন বছর ধরে হস্টেলে আছি। এটাই এখন ঘরবাড়ি হয়ে গিয়েছে। দেশে যেতে পারছি না বলে কষ্ট নেই। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এই পরিস্থিতিতে হস্টেলেই থাকতে চাই।’’ বাংলাদেশের আর এক ছাত্র, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের প্রাঙ্গণ সেনের বক্তব্য, ‘‘ভারত সরকার ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। দেশে ফিরতে সমস্যা হবে। ১৫ এপ্রিলের আগে ফেরা হবে বলে মনে হয় না। তাই সব দিক বিবেচনা করে হস্টেলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাড়িতে ফোন করে সে কথা জানিয়েছি।’’

এনআইটি-র রেজিস্ট্রার সৌম্য সেনশর্মা জানান, পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিদেশি পড়ুয়াদের হস্টেলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মেডিক্যাল ইউনিটে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা আছে। তিন জন মেডিক্যাল অফিসার আছেন। তাই কোনও পড়ুয়ার কোনও রকম রোগের উপসর্গ দেখা দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তবে ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বিদেশি পড়ুয়ারা। রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘বিকল্প হিসাবে এনআইটি-র অতিথিশালায় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যা হোক একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’’ তিনি জানান, ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ থাকায় ৮-৯ জন বিভিন্ন রাজ্যের পড়ুয়াও হস্টেলে থাকার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁরাও থাকবেন। কিছু পড়ুয়া দোলের ছুটির পরে হস্টেলে ফিরেছেন। তাঁদের প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান রেজিস্ট্রার।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Durgapur Foreign Students Education
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy