প্রতীকী ছবি।
বাড়ি তৈরি হয়নি। অথচ, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট দফতর ‘অভিনন্দন বার্তা’ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার বাড়ি হয়ে গিয়েছে। আসানসোল পুরসভা এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই অভিযোগ করেছে রানিগঞ্জের অশোকপল্লির দু’টি পরিবারের।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণা বাইন জানান, ২০১৯-এ ওই প্রকল্পে বাড়ির জন্য আসানসোল পুরসভার ১ নম্বর বরো কার্যালয়ের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দেন। তার পরে, প্রকল্পের জন্য কোনও সুযোগ-সুবিধা মেলেনি। কিন্তু, মাসখানেক আগে ওই প্রকল্পের ‘জয়েন্ট সেক্রেটারি অব মিশন (হাউসিং ফর অল) ডিরেক্টর’-এর দফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, তিনি বাড়ি পেয়ে গিয়েছেন। আবার ওই এলাকারই বাসিন্দা, পেশায় গাড়ি চালক সুখেন দাস জানান, বছর দু’য়েক আগে তাঁর বাবা বাদলচন্দ্রবাবু (মাস ছয়েক আগে প্রয়াত) একই ভাবে বাডির জন্য আবেদনপত্র জমা দেন। পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরে ১০ হাজার টাকা জমা করেন। কিন্তু তার পরেও কোনও অনুদান পাননি। সুখেনবাবুর কথায়, ‘‘অথচ, মাস তিনেক আগে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, আমরা না কি বাড়ি পেয়ে গিয়েছি!’’
আসানসোল পুরসভার এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজেশকুমার শ্রীবাস্তব জানান, নিয়ম অনুযায়ী, বাড়ি তৈরি হলে পুরসভা প্রতিটি বাড়ির ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ (ইউসি) পাঠায় ‘স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’-এর (সুডা) কাছে। ‘সুডা’ সেই ‘ইউসি’ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট দফতরে পাঠায়। তার পরে সেই দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার কাছে এমন অভিনন্দন বার্তা সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছয়। তা হলে এ ক্ষেত্রে কোথায় সমস্যা হল? রাজেশকুমারবাবুর দাবি, ‘‘রানিগঞ্জে দু’টি পরিবার ক্ষেত্রে কেন এমন বিভ্রান্তি হল, তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
এ দিকে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দু ভগতের অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কারণেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’’ যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘নিজেদের অপদার্থতার দায়ভার কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে চাপানোর চেষ্টা করছে আসানসোল পুরসভা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy