যুব তৃণমূলের সভা। নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহ দু’য়েক আগে রায়নার বড়বৈনানের মাঠে সভা করেছিল বিজেপির যুব মোর্চা। রবিবার বিকেলে সেখানেই ‘পাল্টা’ সভা করল যুব তৃণমূল। তৃণমূল নেতাদের দাবি, বিজেপিকে সভার মাঠ ভরাতে ভিন্জেলা থেকে লোক আনতে হয়েছিল। কিন্তু শুধু রায়না বিধানসভা এলাকার কর্মী-সমর্থকেই মাঠ ভরে গিয়েছে এ দিন। যদিও তৃণমূলের এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি।।
এ দিন সভায় জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে যা ব্যবধান ছিল, তার দ্বিগুন করতে হবে। কী ভাবে হবে জানার দরকার নেই। জামালপুরেও জেতার জন্য এখন থেকে ঝাঁপাতে হবে। দক্ষিণ দামোদরের তিনটি আসনেই আমাদের জিততে হবে।’’ গত বিধানসভা ভোটে জামালপুরে জিতেছিল বামেরা। এ দিন সভায় ছিলেন রায়নার ওই এলাকার বাসিন্দা তথা মুখ্যমন্ত্রী কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাদের রাজ্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন করে। অথচ, চাষিদের কাছ থেকে আমাদের রাজ্যে সহায়ক মূল্যে ধান কম কেনে কেন্দ্র। তেলেঙ্গানা, ওড়িশার মতো রাজ্যে ধান উৎপাদন কম হলেও বেশি পরিমাণে ধান কেনে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কৃষি আইনের নামে চাষিদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেছে।’’ তৃণমূলের সরকার কী ভাবে চাষিদের পাশে রয়েছে, তার বিশদ বিবরণ সভায় দেন তিনি।
এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, এ দিন সভাস্থলে অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না, দূরত্ব-বিধিরও বালাই ছিল না। করোনা পরিস্থিতিতে সভাস্থলের এমন অবস্থা সম্পর্কে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডুর ব্যাখ্যা, ‘‘এই এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে। পেটে বা বুকে ব্যথা হলেও ডাকাত রুখতে গিয়ে মানুষ সব ভুলে যায়। ডাকাতদের বিরুদ্ধে এখানকার মানুষ সংগঠিত হচ্ছে। সে জন্য কিছু বিধি সব সময় মানতে পারছেন না।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপনবাবু দাবি করেন, ‘‘রায়নার মানুষই মাঠ ভরিয়ে দিয়েছেন। যাঁরা এই মাঠে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন, তাঁদের মতো হুগলি, বাঁকুড়া থেকে লোক আনতে হয়নি।’’ সভার আয়োজক যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদারের দাবি, ‘‘এত কর্মী-সমর্থক এসেছিলেন যে সবাই মাঠে ঢুকতে পারেননি।’’ সভায় জেলা পরিষদের সভানেত্রী শম্পা ধারা, কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম, উত্তম সেনগুপ্ত, দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল প্রামাণিকেরা হাজির ছিলেন।
তৃণমূলের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দীর পাল্টা দাবি, ‘‘রায়নার মানুষই সে দিন মাঠ ভরিয়ে দিয়েছিলেন। তৃণমূল তো সে দিন গোটা জেলা জুড়ে ‘নাকা’ করেছিল! রায়নায় তৃণমূলের এখন ‘দুঃখের দিন’ চলছে। ভোট দখলের উস্কানি মানুষ সহ্য করবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy