বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।—ফাইল চিত্র।
যানবাহন আটকে রাস্তা অবরোধ ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলার অভিযোগে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে মামলা করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় খণ্ডঘোষের বাদুলিয়া গ্রামের শেখ সুরাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগ জানান। তার পরেই মামলা রুজু করে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। যে সব ধারায় মামলা শুরু হয়েছে, তা আদালতে প্রমাণ করা গেলে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদন্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’
গত শুক্রবার রাতে বেরুগ্রামের দিঘিরপাড়ে দোকানের দরজা বন্ধ করার সময় মারা যান গোপাল পাল (৫৮)। তাঁর মৃত্যকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। গ্রামবাসীদের দাবি, শুক্রবার সকালে তৃণমূলের অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় বেরুগ্রাম দক্ষিণপাড়ার যে কোনও কাউকে ‘খুন’ করার হুমকি দেওয়া হয়। রাতে প্রৌঢ়ের দেহ মিলতেই তাঁরা দাবি করেন, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। বিজেপির তরফেও একই দাবি করা হয়। পুলিশ দেহের উপর থেকে একটি গামছাও পায়। তবে ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ওই প্রৌঢ়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা অভিযোগকারী এলাকায় তৃণমূলের কর্মী বলে পরিচিত। খণ্ডঘোষ ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও পরিচিত। যদিও অপার্থিববাবুর দাবি, গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে অভিযোগকারী শেখ সুরাবুদ্দিনকে চিনতেন তিনি। কিন্তু বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে তাঁর হাত নেই। তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে একজন সাংসদ রাস্তায় বসে গাড়ি আটকে দিচ্ছেন। অপমৃত্যুকে খুন বলে চালাচ্ছেন। ওই ব্যক্তি জন্যে হয়তো মনে করেছেন, এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাছেন সাংসদ ও তাঁর দলবল। তাই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বলে আমার ধারণা।’’ শেখ সুরাবুদ্দিনের দাবি, ‘‘একটা অপমৃত্যুকে ঘিরে রাজনীতি করছে বিজেপি। তার উপর রাস্তা অবরোধ করে ওসির নামে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। উস্কানিমূলক কথা বলা হয়েছে। সে জন্যে আমি ব্যক্তিগত ভাবে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’ সাংসদ-সহ ১২০ জনের নামে অভিযোগ করেন তিনি।
রবিবার দুপুরে সাংসদ বলেন, “তৃণমূলের পুলিশ তো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেনই, এতে আমাদের ভয় নেই। যতই মামলা করুক, আমরা গোপালদার খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য আন্দোলন করব। ওসির অপসারণের দাবি থেকেও এক পা-ও নড়ব না।’’
জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, “আমাদের কথা পুলিশ শুনবে কেন? আমাদের কথা শুনে কেউ অভিযোগই বা করবে কেন? পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, মৃতের পরিজনেরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কস্মিনকালেও রাজনীতির সংস্পর্শে ছিলেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy