n ভাঙচুর: শনিবার দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বাকে চড় মারার অভিযোগ অভিযোগ উঠল। পাল্টা পরিজনদের বিরুদ্ধেও হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালের ঘটনা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা এর আগে বহির্বিভাগে দেখিয়েছেন। তখন তাঁকে প্রসবের সাম্ভাব্য তারিখ বলে, তার দু’-এক দিন আগে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। হাসপাতাল সুপার দীপাঞ্জন বক্সীর দাবি, সে দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তার পরে শনিবার দুপুর আড়াইটায় মহিলাকে নিয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসেন। সুপারের দাবি, এ দিন অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতালের আনার পরেই তাঁর পরিজনেরা দাবি করতে থাকেন, বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে। তা নিয়ে জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত এক চিকিৎসকের সঙ্গে মহিলার পরিজনদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তার পরেই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আসে নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে এই পরিস্থিতি চলার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জরুরি বিভাগের কম্পিউটার, প্রিন্টার, চিকিৎসা সামগ্রী নষ্ট হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এ দিকে, অন্তঃসত্ত্বার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিজনদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক কথা কাটাকাটির সময় মহিলাকে চড় মারেন। তার পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের উপরে চড়াও হন। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি নিরাপত্তারক্ষী শক্তি মল্লিক। হাসপাতালের কর্মী অন্নপূর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সাধ্যমতো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। তার পরেও এমন ঘটনার ফলে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি।”
পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সুপার জানান, পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ করা হবে। সে সঙ্গে তিনি বলেন, “ঘটনার তদন্তে হাসপাতালের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। চিকিৎসকের চোট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy