Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
CITU

স্থানীয়দের নিয়োগের দাবিতে কারখানায় সিটুর বিক্ষোভ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মূলত ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিক্ষোভে যোগ দেন। এলাকার যুবকদের পাশাপাশি পরিবারের মহিলারাও চলে আসেন কারখানার গেটে।

দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার বেসরকারি একটি ইস্পাত কারখানায়। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার বেসরকারি একটি ইস্পাত কারখানায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:১২
Share: Save:

স্থানীয়দের বসিয়ে দিয়ে সেই জায়গায় বহিরাগতদের ঠিকাশ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এই অভিযোগে মঙ্গলবার দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার বেসরকারি একটি ইস্পাত কারখানার গেটে সিটুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়দের একাংশ। ঘণ্টা চারেক বিক্ষোভের পরে কর্তৃপক্ষের লিখিত আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মূলত ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিক্ষোভে যোগ দেন। এলাকার যুবকদের পাশাপাশি পরিবারের মহিলারাও চলে আসেন কারখানার গেটে। কারখানার পণ্য পরিবহণ বন্ধ হয়ে যায়। হাতে সিটু-র পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা, পুরনো কয়েক জনকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরে বাইরে থেকে লোক এনে নিয়োগ করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের তরফে কামনাশিস দে বলেন, “দুর্গাপুরে জন্ম নেওয়া কি অপরাধ? আধার কার্ডে দুর্গাপুরের ঠিকানা দেখার পরে ‘গেট পাস’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, বীরভূম থেকে লোক এনে কাজে লাগানো হচ্ছে।”

কেন এই পরিস্থিতি? এক বিক্ষোভকারী যুবক বলেন, “আমাদের কাজ করালে ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। আমরা স্থানীয়। সেখানে বাইরের লোকদের এনে তৃণমূলের নেতারা অর্থের বিনিময়ে কাজে নিচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূলের সমর্থকেরাও কাজ পাচ্ছেন না।” কারখানার সিটু সংগঠনের সম্পাদক শেখ নসিমের দাবি, বাইরের লোকের কাজ হোক। কিন্তু আগে স্থানীয়দের কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, তাঁরাই কারখানার দূষণের ফলে সমস্যায় পড়ছেন। সিটুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, বিভিন্ন কারখানায় প্রায় তিনশো ঠিকাশ্রমিককে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিক্ষোভের জেরে ট্রাক, ওয়াগন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ঘণ্টা চারেক পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ সিটুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাঁটাই হওয়া ঠিকাশ্রমিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ঠিকাদারদের স্থানীয়দের নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ বলবেন বলে ঠিক হয়েছে। জুতো, দস্তানার মতো নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়া, রাস্তায় ধুলো ওড়া বন্ধ করতে জল ছিটানোর বিষয়েও সম্মত হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি নেতা কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “সিটু-র অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। তবে আমরা স্থানীয়দের নিয়োগের পক্ষে। সিটুর ফাঁদে যেন কেউ পা না দেন।”

অন্য বিষয়গুলি:

CITU Protest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy