রূপশ্রী প্রকল্প। —ছবি : সংগৃহীত
বিয়ের মরসুম শুরু হতেই কাটোয়া ও দাঁইহাট শহরেই রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করার হিড়িক পড়েছে। প্রতিদিনই কাটোয়া মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে নথিপত্র ও বিয়ের কার্ড-সহ হাজির হচ্ছেন আবেদনকারীরা। দাঁইহাটের থেকে কাটোয়া শহরে আবেদনকারীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। কয়েক দিনের মধ্যে দুই শহর মিলিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পে অনুদান চেয়ে ১৬৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। বিয়ের টাকা পেতে মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে কাটোয়া মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে আনাগোনা শুরু হয়েছে অভিভাবকদের।
পারিবারিক আয় দেড় লক্ষ টাকার নীচে হলে মেয়ের বিয়ের জন্য রূপশ্রী প্রকল্পে আর্থিক অনুদান চেয়ে আবেদন করা যায়। সরকারের তরফে দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা। অনেক গরিব পরিবারই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য এই টাকার উপরে নির্ভর করে। কাটোয়া শহরের ২০টি ও দাঁইহাট শহরের ১৪টি ওয়ার্ডের নানা প্রান্ত থেকে রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা পড়ছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার পর্যন্ত কাটোয়া শহর থেকে ১৩৫টি ও দাঁইহাট শহর থেকে ৩২টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। অনুদানের টাকা আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দ্রুত পাঠানোর চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা।
কাটোয়া সুবোধ স্মৃতি রোডের পায়েল ভট্টাচার্যের বিয়ে এক মাস পরে। রূপশ্রীর টাকা পেতে ছাপানো বিয়ের কার্ড ও অন্য নথিপত্র নিয়ে অভিভাবককে সঙ্গে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে এসেছিলেন তিনি। পায়েল বলেন, “সামনের মাসেই বিয়ে। সরকারের যাবতীয় নিয়ম মেনে আমি রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য এ দিন আবেদন জানিয়েছি। বিয়ের সময়ে ওই টাকাটা বাবার বিশেষ কাজে লাগবে।” একই বক্তব্য কাটোয়া-বর্ধমান রোডের পেট্রল পাম্প বাইপাসের বাসিন্দা সুদীপা বক্সীরও। কাটোয়া শহরের বাসিন্দা শম্পা কোঁয়ার বলেন, “আমাদের মতো অনেক গরিব পরিবারের কাছে রূপশ্রী প্রকল্প খুবই প্রয়োজনীয়। গত বছর মেয়ের বিয়ের আগে টাকা হাতে পেয়ে কাজে এসেছিল।”
কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের জন্য বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। একটি গরিব পরিবারে মেয়ের বিয়ের সময়ে এই টাকা মুখ্যমন্ত্রীর তরফে দেওয়া হয়।” কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বিয়ের মরসুম শুরু হয়েছে। রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেতে এ বারও প্রচুর আবেদনপত্র জমা পড়ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy