ফাইল চিত্র।
কোভিড-পরিস্থিতির মধ্যেও উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাফল্য মিলেছে বলে দাবি করল চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (সিএলডব্লিউ)। চলতি অর্থবর্ষের ৮১ দিনের মাথায় একশোটি ইঞ্জিন তৈরি করেছে এই কারখানা। সম্প্রতি একশোতম রেল ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার সতীশকুমার কশ্যপ।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২, এই দু’টি অর্থবর্ষ জুড়েই করোনা পরিস্থিতি চলছে। লকডাউনের জেরে বহু দিন কারখানার উৎপাদনও বন্ধ ছিল। এই মুহূর্তে সংস্থার ৫০ শতাংশ কর্মীর উপস্থিতিতে উৎপাদন চলছে। তার পরেও কী ভাবে মিলল ‘সাফল্য?’ সতীশবাবু বলেন, ‘‘সব প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও, দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন কারখানার শ্রমিক ও আধিকারিকেরা। তাই এই সাফল্য।’’ সংস্থার জন-সংযোগ আধিকারিক চিত্রসেন মণ্ডল জানান, ‘ডব্লিউএজি ৯ এইচসি ৩৩২৪৬’ নম্বরের একশোতম ইঞ্জিনটি সম্প্রতি রেল-বোর্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে সিএলডব্লিউ-তে ৪৯৮টি এবং কারখানার ডানকুনি ইউনিটে ২২টি রেল ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রথম ৮১ দিনে একশোটি ইঞ্জিন তৈরি করা গিয়েছে। বছরের বাকি সময়ের মধ্যে ৩৯৮টি ইঞ্জিন তৈরি করাই সংস্থার লক্ষ্য। ঘটনাচক্রে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কারখানার ৪২০টি ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তা ছাপিয়ে ‘রেকর্ড’ ৪৩১টি ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ।
কারখানার এই ‘সাফল্যে’ শ্রমিকদের অবদানই মূল জানিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলি কারখানাকে ‘কর্পোরেট’ করার তোড়জোড়ের বিরোধিতা করেছে। কারখানার লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্তের ক্ষোভ, ‘‘শ্রমিকেরা দিন-রাত পরিশ্রম করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছেন। অথচ, রেল-বোর্ড কারখানাটিকে কর্পোরেট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে।’’ আইএনটিইউসি-র কার্যকরী সভাপতি নেপাল চক্রবর্তীরও দাবি, ‘‘কারখানার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা যে কোনও মূল্যে পূরণ করেন শ্রমিকেরা। কিন্তু রেল-বোর্ড শ্রমিকের সে চেষ্টাকে মর্যাদা না দিয়ে কারখানা কর্পোরেট করতে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy