Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
coronavirus

আনাজ, সর্ষের তেলের দরে চিন্তা

মুদিখানার জিনিসের দাম চিন্তায় ফেলছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।

ক্রেতার দেখা কম, দাবি বিক্রেতাদের। বর্ধমানে।

ক্রেতার দেখা কম, দাবি বিক্রেতাদের। বর্ধমানে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বর্ধমান ও কালনা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২১ ০৫:৩৪
Share: Save:

ট্রেন বন্ধ থাকায় শহরের বাজারে জোগান কম। ফলে, দাম বাড়ছে আনাজের। আবার গ্রামীণ এলাকায় পাইকারি বাজার সংলগ্ন নানা খুচরো বাজারে কমেছে দাম। আনাজের দামের এমন বিপরীত চিত্রের মধ্যে আবার মুদির দোকানের নানা সামগ্রীর দামও বাড়তে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। তার জেরে নাজেহাল দশা, দাবি ক্রেতাদের।

বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা, স্টেশনবাজার, উদয়পল্লি, কাঞ্চননগর, নতুনগঞ্জ, বড়বাজারে শনিবার আনাজের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। তেঁতুলতলা বাজারের বিক্রেতা সীতারাম সাউ, নতুনগঞ্জ বাজারের লক্ষণ বীটদের দাবি, লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ার প্রভাব বাজারে কিছুটা পড়েছে। বর্ধমান-হাওড়া কর্ড লাইনের বারুইপুর, বেগমপুর, হাজিগড়-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেনে বর্ধমানে আনাজে আসত। এখন তা আসছে না। ফলে, পাইকারি বাজারে জোগান কমেছে ও দাম বেড়েছে। জেলার দামোদর তীরবর্তী রায়না, হিজলনা, মানা থেকে আনাজ আনা হচ্ছে। আনাজ ব্যবসায়ী পতিতপাবন সত্ত, তুষার কুণ্ডুরা বলেন, ‘‘পাইকারি বাজারে সব মিলিয়ে ২০-২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।’’

গ্রামীণ এলাকার খুচরো বাজারগুলিতে আবার অন্য রকম চিত্র দেখা গিয়েছে। বর্ধমান শহরের বাজারে শনিবার যখন কেজি প্রতি পটল ২৫ টাকায় বা বেগুন ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়, সেখানে কালনার নানা বাজারে পটল ১৫ টাকা বা বেগুন ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। চাষিদের দাবি, ট্রেন না চলায় বাইরে থেকে বহু ব্যবসায়ী পাইকারি বাজারগুলিতে আনাজ কিনতে আসছেন না। সকাল ১০টায় বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ভিন্‌ রাজ্যের ব্যবসায়ীদের আনাজ বিক্রি করতেও সমস্যা হচ্ছে। ফলে, যা দাম মিলছে, তাতেই আনাজ বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। তাই পাইকারি বাজার লাগোয়া এলাকার খুচরো বাজারে জোগান পর্যাপ্ত থাকছে। ক্রেতারাও তুলনায় কম দামে জিনিস পাচ্ছেন। কালনার চকবাজারের আনাজ ব্যবসায়ী ধ্রুব দে-র দাবি, ‘‘তুলনামূলক ভাবে বাজারে বেশ কিছু আনাজের দাম কম রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে বিক্রি কিছুটা কমেছে।’’

এরই মধ্যে মুদিখানার জিনিসের দাম চিন্তায় ফেলছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, সর্ষের তেলের দাম বেড়ে গিয়েছে। কেজি প্রতি ১৭৫-১৭৮ টাকার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯০ টাকা দরে। এক লিটারের পাউচ বিক্রি হচ্ছে ১৭৪-১৮০ টাকায়। গড়ে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। সাদা তেলের দামও ১০-১২ টাকা বেড়েছে বলে অভিযোগ। করোনা পরিস্থিতিতে নানা বিধিনিষেধের জেরে জোগানের ঘাটতির কারণে দামের হেরফের বলে ধারণা খুচরো বিক্রেতাদের। কালনার বারুইপাড়ার এক মুদি দোকানের মালিক মুরারিমোহন দে বলেন, ‘‘মাস দেড়েক আগেও যে সর্ষের তেল ১৫০-১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, এখন তা ১৮৫-১৯০ টাকা। অনেক ক্রেতা সর্ষের তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছেন।’’

বর্ধমান শহরের খাজা আনোয়ার বেড় এলাকার বাসিন্দা শেফালি মাজি বলেন, ‘‘এখন কাজের বাজার খারাপ। আয় কমছে, খরচ বাড়ছে। এ ভাবে সব জিনিসের দাম বাড়লে খাব কী?’’ বর্ধমানের গোলাপবাগ মোড়ের বাসিন্দা মামন মালিক, কালনার সুবল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘তেল ছাড়া রান্না হয় না। এ ভাবে তেলের দাম বাড়তে থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus Food crops
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy