সবুজ, লাল, গেরুয়া— ভোটে জিতলে আবীর নিশ্চিত। কিন্তু তার আগেই প্রচারে রং ছড়ালেন ডান, বাম, সব পক্ষের প্রার্থীরাই। সৌজন্যে দোল উৎসব।
কালনা বিধানসভা কেন্দ্র। তখনও বিছানায় শুয়ে আড়মোড়া ভাঙছেন কালনার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। আচমকা বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। বিদায়ী বিধায়ককে বাড়ি থেকে টেনে বের করে আনলেন তৃণমূলের ছাত্র নেতা সন্দীপ বসু-সহ আরও কয়েকজন। সঙ্গে আবীর। দোলের দিনে প্রচারের সুরটা তখনই বাঁধা হয়ে গেল।
প্রচার শুরু ১০৮ শিব মন্দির থেকে। ভোটারদের আবীর মাখানো, ছোটদের সঙ্গে এক হাত রঙ খেলা— কিছুরই খামতি রাখলেন না তৃণমূল প্রার্থী। কয়েকজন পরিচিত তৃণমূল সমর্থককে আবার প্রার্থীর সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা যায়। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘রঙেআবীর ছাড়া ভাল লাগে না। ভোটও চেয়েছি।’’
পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে আবার দোলে মেতেছেন বিজেপি প্রার্থী রাজীব ভৌমিক। অনুগামীদের নিয়ে সকাল থেকেই নসরতপুর, সমুদ্রগড় ও ধাত্রীগ্রামে ঘুরতে দেখা যায় রাজীববাবুকে। অন্য রঙের আবীর থাকলেও গেরুয়াই বেশি পছন্দ বিজেপি কর্মীদের। ভোটারদের আবীর দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি চলল প্রচার। বয়স্ক ভোটারদের পায়ে আবীর দিয়ে প্রণাম করতেও দেখা যায় রাজীববাবুকে। তবে দিনভর চড়া রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় হলুদ টুপিটা পরতে ভোলেননি বিজেপি নেতা, কর্মীরা। বিজেপি প্রার্থীর কথায়, ‘‘ দিনটাকে ভীষণ ভাবে উপভোগ করেছি।’’
মন্তেশ্বর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সজল পাঁজাকে হোলির দিন মাঝেরগ্রাম, কুসুমগ্রাম, মালডাঙায় ভোট প্রচার করতে দেখা যায়। রং খেলার পাশাপাশি ছিল ভোটারদের সঙ্গে মিষ্টিমুখও। রং-প্রচারে নজর কাড়েন ভাতারের তৃণমূল প্রার্থী সুভাষ মণ্ডল, জামালপুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল প্রামাণিকও। রং খেলাতে পিছিয়ে ছিলেন না জোট প্রার্থীরাও। বৃহস্পতিবার লাল আবীর নিয়ে ভোটারদের সঙ্গে রং খেলতে দেখা যায় ভাতারের সিপিএম প্রার্থী বামাচরণ মুখোপাধ্যায়কেও। এ দিন তিনি রাখীপুর গ্রামে ভোটারদের সঙ্গে রং খেলায় মাতেন।
নেতা-কর্মীদের রং খেলতে দেখে এক ভোটারের মন্তব্য, ‘‘ভোট ময়দানে জয়ের আগেই এ বার আবীর খেলার প্রস্তুতিটা সেরে ফেললেন প্রার্থীরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy