আবদুল বারিক বিশ্বাস।
সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট সম্প্রতি বসিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল বারিক বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে। জামুড়িয়ায় অবৈধ কয়লার কারবারে জড়িত অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই মামলায় দশ দিন সিআইডি হেফাজতে থাকার পরে সোমবার বারিককে ফের আসানসোলের সিজেএম আদালতে তোলা হয়। এ দিন সিআইডি বারাবনির চরণপুর রেল সাইডিং থেকে কয়লা চুরির অন্য একটি মামলাতেও বারিক অভিযুক্ত বলে জানায়। সিআইডি ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারিককে ফের আট দিন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। বিচারক সে আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এ দিন ফের আদালতে তোলা হয় বারিককে। সিআইডি-র আইনজীবী মনোজ সিংহ বিচারকের কাছে দাবি করেন, চরণপুর রেল সাইডিং থেকে কয়লা চুরির ঘটনাতেও অভিযুক্ত বারিক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করাটা দরকার। সিআইডি হেফাজতের বিরোধিতা করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। তিনি বিচারকের কাছে দাবি করেন, ২০১৯-এর একটি ঘটনার সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর মক্কেলকে যুক্ত করা হচ্ছে।
এ দিকে, সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-এর ৯ ডিসেম্বর বারাবনির চরণপুর রেল সাইডিং থেকে প্রায় ১,৮১৭ টন কয়লা চুরি হয় বলে অভিযোগ। ওই কয়লা চুরি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জের বাসিন্দা চার অভিযুক্ত যুধিষ্ঠীর ঘোষ, ওমপ্রকাশ আগরওয়াল, অভিষেক সিংহ ও বিজয় সিংহকে গত মাসেই গ্রেফতার করে সিআইডি। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁদের সূত্রে জানা যায়, দিল্লির বাসিন্দা সঞ্জয় মালিক ও বারিক চরণপুর রেল সাইডিং থেকেও কয়লা চুরির ঘটনায় যুক্ত।
সিআইডির দাবি, চরণপুর রেল সাইডিং থেকে চুরি হওয়া কয়লা বারিকের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা ইট ভাটা এবং জামুড়িয়ার একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, চলতি বছরের ৮ জুলাই জামুড়িয়ায় প্রায় ৪০ টন অবৈধ কয়লা বাজেয়াপ্ত করেছিল জামুড়িয়া থানা। ওই ঘটনার তদন্তভার নিয়ে সিআইডি প্রথমেই মীর দিলাওয়ার নামে এক জনকেগ্রেফতার করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy