—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাস স্ট্যান্ড আছে। এক সময় দিয়ে কমপক্ষে ১০টি বাস চলাচল করত। কিন্তু পাঁচ বছ হল, কেতুগ্রামের শাঁখাই বাস স্ট্যান্ডে আসে না বাস। স্ট্যান্ডের দখল নিয়েছে টোটো।
কেতুগ্রাম ২ ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ জনপদ এই শাঁখাই গ্রাম। প্রচুর মানুষের বাস ওই গ্রামে। এখানেই মিশেছে অজয় ও ভাগীরথী। নদীর অপর প্রান্তে কাটোয়া শহর। সে কারণে শাঁখাই ফেরিঘাটে নিত্যযাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকে সারাদিন। এই ফেরিঘাট মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে যোগ করেছে পূর্ব বর্ধমানকে। অনেক আগে শাঁখাই ফেরিঘাট সংলগ্ন জায়গায় বাস স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছিল। সারাদিন বাস চলাচল করায় সুবিধা হত দুই জেলার হাজার হাজার মানুষের। সরগরম থাকত শাঁখাই। জনসমাগম হওয়ায় এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নও ঘটেছিল দ্রুত। কিন্তু, সে সবই আজ অতীত।
বাসযাত্রীদের অভিযোগ, শাঁখাই ফেরিঘাটে ওঠার জন্য বাসে চাপলেও বাস শাঁখাই গ্রামে ঢোকে না। নানা রুটের সে সব বাস কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুরে থেমে যায়। সেখান থেকে বাসের মুখ ঘুরিয়ে দেন চালকেরা। ফলে যাত্রীদের শাঁখাই ফেরিঘাটে আসতে হয় টোটোয়। এতে সময় ও অর্থ, দুয়েরই অপচয় হয়। বছরের পর বছর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। বাড়ছে বাসযাত্রীদের ক্ষোভ।
জানা গিয়েছে, ২৫-৩০ বছর আগে দুলালবাবা নামে এক সাধু এলাকাবাসীও যাত্রীদের সুবিধার জন্য শাঁখাই গ্রামে বাস পরিষেবা চালুর লক্ষ্যে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন। প্রশাসনের নানা স্তরে আবেদন করে শাঁখাই গ্রামকে গণপরিবহণের মানচিত্রে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁরই উদ্যোগে গ্রামে আশ্রমের জায়গায় যাত্রী বিশ্রামাগার তৈরি হয়। গড়ে ওঠে বাস স্ট্যান্ড। প্রতিদিন কম-বেশি ১৫টি বাস স্ট্যান্ডে আসত। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে সহজেই ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে শাঁখাই ফেরিঘাট পার হয়ে কাটোয়া শহরে যেতেন। আবার মুর্শিদাবাদের যাত্রীরা কাটোয়া শহর থেকে নদী পার হয়েই শাঁখাই ফেরিঘাটে এসে বাস ধরতে পারতেন। শাঁখাই গ্রামে ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হতেন। বাইরের লোকজন বেশি করে আসায় ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছিল।
শাঁখাই গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত মাঝি, বাপন দে বলেন, “আমাদের উদ্ধারণপুরে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে টোটো ধরে শাঁখাই আসতে হয়। এতে সময় ও অর্থ, দুয়েরই অপচয় হয়। হয়রান হতে হয় আমাদের। প্রায় পাঁচ বছর ধরে গ্রামে বাস ঢোকে না। প্রশাসন এ ব্যাপারে নজর দিলে ভাল হয়।”
কেতুগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বিশ্বাস বলেন, “শাঁখাই গ্রামে বাস ঢোকা খুবই জরুরি। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে গ্রামে আগের মতো বাস আসে।” কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহনেওয়াজ বলেন, “ওই রুটে যাতে ফের বাস চলাচল শুরু হয়, তার
চেষ্টা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy