—ফাইল চিত্র।
হাসপাতালে ট্রলি পাওয়া নিয়ে রোগীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সমস্যা মেটাতে জরুরি বিভাগে ‘ট্রলিবয়’ হিসেবে সর্বক্ষণ এক জন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ট্রলির হিসেব রাখার জন্য রাখা হয়েছে নির্দিষ্ট খাতাও। হাসপাতালের দাবি, মানুষের ট্রলি পেতে যাতে কোনও সমস্যা না নয়, সে কারণেই এই উদ্যোগ।
রোগী ও তাঁদের পরিজনেদের দাবি, হাসপাতালের এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলি পেতে মোবাইল বা আধার কার্ড জমা দিতে হয়। সম্প্রতি রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠকে কড়া অবস্থান নেওয়ার কথাও জানান। এর পরেই নড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দিন দশেক আগে থেকেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নীল রঙের পোশাক পরা ‘ট্রলিবয়’ নিযুক্ত করা হয়। জরুরি বিভাগে আসা রোগীকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে বা কারও ট্রলি পেতে যাতে সমস্যা না হয়, তা দেখবেন তিনি। রোগীর পরিজনেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নির্দিষ্ট খাতায় নথিভুক্ত করে ট্রলির ব্যবস্থা করবেন। কোন ওয়ার্ডে, কখন কোন ট্রলি গিয়েছে, সে হিসেবও থাকবে তাঁর কাছে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক জন কর্মী এর দায়িত্বে থাকবেন। রাতে যাঁরা ডিউটিতে থাকবেন, তাঁরাও ক্রমান্বয়ে এই কাজ করবেন। পুরো বিষয়টি তদারকি করবেন জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার৷ এই মর্মে বর্ধমান হাসপাতালে সুপার লিখিত নির্দেশিকাও জারি করেছেন।
তবে এর মধ্যেই ভাঙা বা খারাপ ট্রলি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন রোগী পরিজনেদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এর ফলে রোগী নিয়ে যেতে অসুবিধা হচ্ছে। যদিও হাসপাতাল সুপার প্রবীর সেনগুপ্তের দাবি, রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ট্রলি নিয়ে কোনও সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য এই উদ্যোগ। ট্রলি নিয়ে কোনও আপস করা হবে না৷ খারাপ ট্রলি দ্রুত সারানোর আশ্বাস দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy