Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
bardhaman

কাঁকসায় নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটির সম্পত্তি

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই মার্কেট কমপ্লেক্স চত্বরে ইট, বালি, পাথর ফেলে রেখে চলছে ব্যবসা। এই পরিস্থিতিতে পড়ে-পড়ে নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।

বামুনাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

বামুনাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৫:০২
Share: Save:

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য কাঁকসায় প্রায় বারো বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল তিনটি বহুতল মার্কেট কমপ্লেক্স। সেই ভবনগুলি এখনও অব্যবহৃত। ভেঙে পড়ছে কাচ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই মার্কেট কমপ্লেক্স চত্বরে ইট, বালি, পাথর ফেলে রেখে চলছে ব্যবসা। এই পরিস্থিতিতে পড়ে-পড়ে নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।
অবিভক্ত বর্ধমান জেলা পরিষদের তরফে ও ‘নাবার্ড’-এর আর্থিক সহায়তায় কাঁকসা ব্লক অফিসের উল্টো দিকে, ডাকবাংলো ও বামুনাড়া এলাকায় তিনটি বহুতল মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হয় ২০০৮ সালে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সে বাবদ খরচ হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। লক্ষ্য ছিল, ওই সব মার্কেট কমপ্লেক্সের ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করবেন স্থানীয় বেকার যুবকেরা। প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়, লটারির মাধ্যমে ওই সব মার্কেটের ঘর বিলি করা হবে। যেখানে যুবকেরা নানা ধরনের ব্যবসা করে কর্মসংস্থান করতে পারবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই কমপ্লেক্সগুলি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে।
তবে ডাকবাংলোর কমপ্লেক্সের নীচের তলায় বেশ কয়েকটি ঘরে ব্যবসা শুরু করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তা ছাড়া, বছর তিনেক আগে ব্লক অফিসের সামনের ভবনটির নীচের তলার বেশ কিছুটা অংশ পুলিশের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হলেও, তার অধিকাংশ ঘর বন্ধই পড়ে রয়েছে।
এই দুই ভবনের এমন অবস্থা হলেও, বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে বামুনাড়া এলাকার বহুতল ভবনটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ভবন চত্বরটি এখন আড্ডা দেওয়ার জায়গায় পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই মদের আসরও বসছে বলে অভিযোগ একাংশ বাসিন্দার। স্থানীয় বাসিন্দা প্রণব মুখোপাধ্যায়, হিতেশ রায়রা বলেন, ‘‘এই ভবনটি চালু হলে বহু বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে। তা ছাড়া, এলাকায় বাজারও তৈরি হয়ে যাবে।’’ অযত্নে পড়ে থেকে যে ভবনটি নষ্ট হচ্ছে, তা দেখলেই বোঝা যায়। কাচ দিয়ে ঘেরা ভবনটির জানালাগুলি ভেঙে পড়েছে। রংও চটে গিয়েছে বহু জায়গায়। স্থানীয় ঠিকাদারেরা ইট, বালি, পাথর রাখছেন ভবনটির সামনে বলে অভিযোগ। তবে আগের বা বর্তমান জেলা পরিষদ, কোনও বোর্ডের তরফেই সদর্থক ভূমিকা না নেওয়ার ফলে, ভবনগুলি এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে, অভিযোগ জেলা পরিষদের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্যদের একাংশের। তবে ব্লক প্রশাসনের দাবি, বামুনাড়ার মার্কেটটি চালুর বিষয়ে উদ্যোগী হলেও স্থানীয়দের তরফে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, ‘‘দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bardhaman Market Complex
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE