প্রতীকী ছবি
যুবতীকে কোপ মারার ঘটনায় পুলিশের কাছে তাঁরই এক আত্মীয় ‘সবিস্তারে’ কী ঘটনা ঘটেছে, তা জানাচ্ছিলেন। কাটোয়ার পলসোনার ওই ঘটনায় রতন ঘোষ নামে সেই আত্মীয় যুবককেই গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, রতনের হােত থাকা একটি স্মার্টফোনের সূত্রেই প্রথম তাঁকে সন্দেহ করা হয়।
কাটোয়া থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ওই যুবতীকে কোপানোর ঘটনায় ব্যবহৃত বঁটিটি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর কয়েক জন নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে শনিবার ভোর থেকে দফায় দফায় কথাও বলে পুলিশ। কিন্তু সকালের একটা বড় সময় পর্যন্ত ‘ছাড়া’ ছিলেন রতন। এমনকি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামবাসী, সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়ে দুঃখপ্রকাশও করতে দেখা যায় রতনকে।
পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে কাটোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিকাশ দত্তের মনে পড়ে, ঘটনার পরে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলার সময়ে রতনের হাতে কালো রঙের মোবাইলটি দেখেছিলেন। সেটির ‘স্ক্রিন’ ভাঙা ছিল। এর পরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের মারফত রতনকে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তাঁর বাড়ির লোকজন জানান, তিনি বাড়িতে নেই। তাতেই সন্দেহ বাড়ে তদন্তকারীদের। দুপুর নাগাদ মালডাঙা-মন্তেশ্বের রোডে চন্দ্রপুর মোড় থেকে পাকড়াও করা হয় বছর ২১-এর রতনকে। থানায় ওই যুবককে আনার পরে মোবাইলটি ভাঙা কেন তা জিজ্ঞাসা করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় প্রাথমিক ভাবে তাদের কাছে তিনি জানান, দিন কয়েক আগে হাত থেকে পড়ে মোবাইল ভেঙে যায়। তবে ঘণ্টা দুয়েক টানা জেরায় রতন তাদের কাছে হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন, দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন যুবতী যে ঘরে শুয়েছিলেন, সেখানে ঢুকে আলোর স্যুইচ বন্ধ করতে যাওয়ার সময়ে রতনের জামার পকেট থেকে মোবাইলটি পড়ে যায়। তাতেই স্ক্রিন ভাঙে মোবাইলের। অন্ধকারে ও মোবাইল পড়ার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় ওই যুবতীর। তখনই চলে হামলা, দাবি পুলিশের।
এই ঘটনার কারণ নিয়ে শুরু থেকেই ধন্দ ছিল। তবে রবিবার পুলিশের দাবি, যুবতীকে উত্ত্যক্ত করতেন রতন। তার প্রতিবাদ করাতেই এই হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘রতন ঘোষের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ বেশ কিছু অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। রবিবার ধৃতকে কাটোয়া আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’আক্রান্ত যুবতীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে পুলিশ জানায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy