অভিযোগের পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
ফের ‘কাটমানি-পোস্টার’ জেলায়। এ বার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি স্বয়ং জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতীর কাছে। বুধবারের ঘটনা। বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জে পড়া ‘কাটমানি-পোস্টারে’ পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বাঁকার পাড় দখল করে ‘২৫-৩০টি পরিবারকে গড়ে প্রায় ৫০,০০০’ টাকার বিনিয়মে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
‘এলাকার অধিবাসীবৃন্দের’ নামে দেওয়া ‘বিষয়ঃ তোলাবাজি, কাটমানি’ শীর্ষক ওই পোস্টারে অভিযোগ, অবৈধ ভাবে জমি ‘বিক্রি’ করেছেন পাঁচ জন। ওই পাঁচ জন এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও পোস্টারে জানানো হয়। তবে অভিযুক্তদের প্রত্যেকেরই দাবি, ‘‘যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা। অসৎ উদ্দেশ্যেই এই পোস্টার মারা হয়েছে।’’
তোলাবাজি ও ‘কাটমানির’ টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোদা ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বোরহাটেও পোস্টার পড়ে।
এ ছাড়া, কাটমানি ও জরিমানার টাকা ফেরতের দাবিতে ভাতারের বড়বেলুন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা ভাতার ব্লকের সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও পোস্টার পড়েছে। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানের কাছে চিঠি দিয়ে সরকারি প্রকল্পের আবাস যোজনার ঘর তৈরিতে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন উপভোক্তাদের একাংশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে বড়বেলুন গ্রাম জুড়ে পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছে। শুধু দেবাশিসবাবু নন, গ্রামের আরও কয়েক জন তৃণমূল নেতার নামেও এমন পোস্টার পড়েছে।
যদিও দেবাশিসবাবু বলেন, “যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা। ভোটের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে রাতের অন্ধকারে এমন কাজকর্ম করে গ্রামকেও কলুষিত করতে চাইছে বিজেপি।’’ তবে ওই এলাকার বিজেপি নেতা আলি হোসেনের দাবি, “বিজেপির ঘাড়ে দায় চাপিয়ে তো আর কাটমানির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন না ওই তৃণমূল নেতারা।’’
বুধবার কামরানাতে বর্ধমান ১ ব্লক দফতরে গিয়ে পালিতপুর-সহ কিছু গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে তৃণমূলের নেতারা যে কাটমানি নিয়েছিলেন, তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানান। সেই দাবিতে কিছুক্ষণ ব্লক অফিসও ঘেরাও করে রাখা হয়।
তবে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশাসনের কর্তারা মুখ খোলেননি। তৃণমূলের দাবি, নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ করলে প্রশাসন তা নিশ্চিত ভাবে খতিয়ে দেখবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy