এখানে মেলে বোমা। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের কর্মী বলে পরিচিত এক ব্যক্তির খামারবাড়ি থেকে উদ্ধার হল বেশ কিছু বোমা। রবিবার সকালে আউশগ্রামের দিগনগর ১ পঞ্চায়েতের উপর তেলোতা গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর। দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই কাজ বিরোধীদের। বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে শাসক দলের ‘গোষ্ঠী-কোন্দল’। এ দিকে, যে ব্যক্তির বাড়ি থেকে বোমাগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেই নিরঞ্জন পালের খোঁজ মিলছে না বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ উপর তেলোতা গ্রামে পুলিশের রুট-মার্চ চলছিল। নিজস্ব সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে নিরঞ্জনের খামারবাড়ির চালাঘরের একটি জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। দেখা যায়, মাটিতে পোঁতা একটি প্লাস্টিকের জারের খোলা মুখ দিয়ে উঁকি মারছে বোমা। জায়গাটি ঘিরে দেয় পুলিশ। সিআইডি’র ‘বম্ব ডিটেকশন অ্যান্ড ডিসপোজ়াল স্কোয়াড’কে খবর দেওয়া হয়। বিকেলে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের দিগনগর ১ অঞ্চল সভাপতি মাধব রায়ের প্রতিক্রিয়া, “নিরঞ্জন আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। দিনমজুরি করে তিনি সংসার চালান। চালাটি রয়েছে খোলা জায়গায়। সেটি নিরঞ্জনের বসত বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে। তাই, কে এবং কখন ওই জায়গায় বোমাগুলি রেখেছে, তা নিরঞ্জনের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।” তাঁর অভিযোগ, ‘‘এটা বিরোধীদের কাজ।’’
অন্য দিকে, সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর মণ্ডলের দাবি, “ওই এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তার জেরেই এই ঘটনা। এখন বিরোধীদের উপরে দায় চাপানো হচ্ছে। দিকে-দিকে অশান্তি পাকানোর জন্যই বোমা মজুত করা হয়েছিল।”
স্থানীয়দের একাংশ জানান, ওই এলাকায় গত লোকসভা ভোটের আগে বোমাবাজি হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি কারা এবং কী উদ্দেশ্যে মজুত করেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শনিবার আউশগ্রামের ভূঁয়েরা এবং বিল্বগ্রামের বিল্বগ্রাম ও তকিপুর থেকে উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি এ দিন নিষ্ক্রিয় করা হয়।
অন্য দিকে, অস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে রবিবার দাবি করেছে ভাতার থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃত ইন্নাল শেখ ভাতারের বলগোনা পঞ্চায়েতের শিকড়তোর গ্রামের বাসিন্দা। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে টহলদারি গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীরা বর্ধমান-কাটোয়া রাস্তায় ভূমশোর গ্রামের মোড়ের কাছে ওই যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। পুলিশের গাড়ি দেখে পালাবার চেষ্টা করেন তিনি। তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের থেকে এক রাউন্ড গুলি এবং একটি পাইপগান উদ্ধার হয়েছে।
গলসি থানার পুলিশও অস্ত্র-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ধৃতের থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি দেশি পাইপগান এবং দুই রাউন্ড গুলি। শনিবার গভীর রাতে কুলিগড়িয়া থেকে খানা জংশন যাওয়ার রাস্তায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃত গদাই ঘরুই ওরফে তোতন চান্না গ্রামের বাসিন্দা। থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ধৃতের বিরুদ্ধে গলসি থানায় খুন ও ধর্ষণ-সহ নানা মামলা রয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলিগড়িয়া থেকে খানা জংশন যাওয়ার রাস্তায় গাড়িতে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা ছিল গদাইয়ের। খবর পেয়ে শনিবার রাতে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করেন গদাই। তাঁকে তাড়া করে ধরা হয়। পুলিশের দাবি, ছিনতাইয়ের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।
শনিবার গভীর রাতে কালনা ২ ব্লকের শতপটি মালোপাড়া এলাকা থেকেও অস্ত্র-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করে কালনা থানার পুলিশ। ধৃত কমল দাসের বাড়ি হুগলির বলাগড়ের দক্ষিণ বাধাগাছিতে। তাঁর থেকে একটি পাইপগান এবং একটি গুলি উদ্ধার হয়। এসডিপিও (কালনা) সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
শনিবার রাতে মেমারিতে জিটি রোডে শোভনা মোড়ের কাছ থেকে পুলিশ এক যুবককের কাছ থেকে একটি একটি দেশি পাইপগান ও দু’রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে বলে দাবি করেছে। ধৃত কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোলা মেমারি থানার দেবীপুরের ডিভিসি পাড় এলাকার বাসিন্দা। রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে ১৩ দিনের জেল হেফাজত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy