ফাইল চিত্র।
ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারকে (জিএম) খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসানসোল উত্তর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই খনি আধিকারিক। বুধবার থেকে সালানপুর এরিয়া কার্যালয়ের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সিআইএসএফ। পুলিশি টহলেরও ব্যবস্থা হয়েছে। যদিও হুমকি দেওয়ার অভিয়োগ অস্বীকার করে ওই যুব নেতার দাবি, তাঁকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
সালানপুর এরিয়ার জিএম প্রশান্ত কুমার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অরিজিৎ রায়ের নেতৃত্বে জনা দশ-বারোর একটি দল তাঁর কার্যালয়ে যান। ওই যুব নেতা তাঁর কাছে ঠিকাদারের অধীনে কয়েকজন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের দাবি জানান। তিনি তাঁকে জানিয়ে দেন, এ ভাবে লোক নিয়োগ করার এক্তিয়ার তাঁর নেই। সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে করা হয়। প্রশান্তবাবুর অভিযোগ, ‘‘এ কথা শোনার পরেই অরিজিৎবাবু ও তাঁর দলবল কার্যালয়ের ভিতরে তাণ্ডব চালান। টেবিল-চেয়ার উল্টে দেন। নথিপত্র নষ্ট করেন। এমনকী, বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে তাঁর দাবি না মানা হলে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।’’
এরিয়া কর্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরে কয়েকজন সিআইএসএফ কর্মীকে জিএমের অফিসের দিকে আসতে দেখে ওই যুব নেতা দলবল নিয়ে চলে যান। ইসিএলের তরফে আসানসোল উত্তর থানায় খবর দেওয়া দিলে পুলিশ পৌঁছয়। সন্ধ্যায় থানায় অভিয়োগ দায়ের করা হয়।
কয়েক মাস আগে আসানসোল পুরসভায় স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে বিজেপির যুব কর্মীদের গোলমালের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অরিজিৎ গ্রেফতার হন। খনি আধিকারিকের অভিযোগ অবশ্য মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ওই যুব নেতা। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘জিএমের অফিসে সিসিটিভি আছে। তার ফুটেজ পরীক্ষা করলেই সে দিনের ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’
বছর দুয়েক আগে সালানপুর এরিয়ার বিভিন্ন খনিতে ঠিকা সংস্থার অধীনে শতাধিক নিরাপত্তারক্ষী কাজ করতেন। ইসিএল কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের লিজ পুনর্নবীকরণ না করায় বেকার হয়ে পড়েছেন ওই রক্ষীরা। তাঁদেরই কয়েকজনকে ফের নিয়োগের দাবি জানাতে মঙ্গলবার তিনি জিএমের দফতরে গিয়েছিলেন বলে জানান অরিজিৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy