প্রতীকী চিত্র।
দুই বর্ধমানের জেলা সদরে সাংগঠনিক বৈঠক করলেন দলের রাজ্য সভাপতি। কিন্তু কোনও বৈঠকেই দেখা গেল না দলীয় সাংসদদের। মঙ্গলবার বর্ধমান ও আসানসোলে এ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় বিজেপির অন্দরেই। যদিও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘সাংসদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে থাকতেই হবে, এর কোনও মানে নেই।’’
আসানসোলে দলের জেলা কমিটির সঙ্গে এ দিন প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন দিলীপবাবু। ঘরছাড়াদের পরিস্থিতি খোঁজ নেন। বৈঠকে দেখা যায়নি আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে। দিলীপবাবু এ বিষয়ে বলেন, ‘‘উনি কেন আসেননি, বলতে পারব না। এটা জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। ওঁকেও নিশ্চয় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উনি সময়মতো থাকেন। এখন মন্ত্রিত্ব থেকে মুক্ত হয়েছেন। আসবেন, আমাদের সঙ্গেই কাজ করবেন।’’ বৈঠকে বাবুলকে ডাকা হয়েছিল বলে জানান দলের জেলা আহ্বায়ক শিবরাম বর্মন।
বাবুল এ দিন ফোন ধরেননি। তাঁকে পাঠানো মেসেজের উত্তর মেলেনি রাত পর্যন্ত। তাঁর আপ্ত সহায়ক ধর্মেন্দ্র কৌশলের বক্তব্য, ‘‘উনি ব্যক্তিগত কাজে মুম্বই গিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া জানালে, তা পাঠিয়ে দেব।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর পর দিনই বাবুলকে ফোন করে বৈঠকে আসতে বলেছিলেন দিলীপবাবু৷ তবে দলের একটি সূত্রের দাবি, সে দিন বাবুল দিলীপবাবুকে জানান, তিনি কয়েকদিনের জন্য ‘বিরতি’ নিচ্ছেন৷ তাই ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন না৷
বিধানসভা ভোটের পরে, বর্ধমানে বিজেপির প্রথম ‘কার্যকারিণী সভা’ ছিল এ দিন। সেখানে দেখা যায়নি বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে। বিজেপি সূত্রের দাবি, সভায় তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে চেষ্টা করেও এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি। দলের জেলা (বর্ধমান সদর) সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ‘‘বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ দিল্লিতে রয়েছেন। সংসদ শুরু হবে বলে তিনি আসতে পারেননি।’’ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদ সুনীলবাবু ভোটের ফলের পর থেকেই দলের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ রাখছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিন সুনীলবাবুর প্রতিক্রিয়া, “সংসদের কাজে বর্ধমানের বাইরে থাকায় বৈঠকে যোগ দিতে পারিনি।’’
বিজেপি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে দিলীপবাবু পুর-ভোটের জন্য এখন থেকেই সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, আসন সংখ্যায় পিছিয়ে থাকলেও লোকসভা ভোটের চেয়ে এ বার বিজেপির ভোট বেড়েছে। তিনি জেলা কমিটিকে নির্দেশ দেন, সব কর্মীকে মাঠে নামাতে হবে। আন্দোলন বাড়াতে হবে। এ দিন বৈঠক শুরুর আগে তাঁকে বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ তুলে দলের যুব মোর্চার সহ-সভাপতি, গোদার বাসিন্দা ইন্দ্রনীল গোস্বামী বিক্ষোভ দেখান। সভা শেষে তিনি দিলীপবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। জেলা বিজেপির সম্পাদক শ্যামল রায়ের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ জানান। শ্যামলবাবু অবশ্য বলেন, “আমি ঘটনার বিন্দুবিসর্গ জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy