সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
কাঁকসার দলের বুথ সভাপতি সন্দীপ ঘোষ খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে কমিশনারেটের ডিসি-র (পূর্ব) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। ওই ঘটনায় পুলিশ কর্মীদের কাজে বাধা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে ধৃত দশ জন বিজেপি কর্মী বুধবার ছাড়া পেলেন দুর্গাপুর সংশোধনাগার থেকে।
গত ৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁকসার সরস্বতীগঞ্জ ও রূপগঞ্জের মাঝে জঙ্গলের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন সন্দীপ। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করে। তবে অন্যতম অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু করে বিজেপি। ২১ ডিসেম্বর দলীয় কর্মী-সদস্যরা মিছিল করে যান ডিসি (পূর্ব) কার্যালয়ে। ব্যারিকেড ভেঙে জোর করে গেট খুলে ভিতরে ঢোকেন মিছিলকারীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের। সেই সময় পুলিশের লাঠির ঘায়ে দলের কয়েক জন জখম হন বলে অভিযোগ করে বিজেপি। লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের পক্ষ থেকে পাল্টা হেনস্থার অভিযোগ করা হয়।
এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে পুলিশ। মোট ৪০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ দশ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
মঙ্গলবার ওই দশ জনকে ফের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিচারক সবারই জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। বুধবার ধৃতেরা সংশোধনাগার থেকে বেরনোর পরে তাঁদের মালা পরিয়ে মিষ্টিমুখ করান দলের নেতারা।
দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শাসক দলের হয়ে কাজ করছে পুলিশ। সে জন্যই এত তৎপরতার সঙ্গে আমাদের দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানায়, ঘটনার দিনের ভিডিয়ো রেকর্ডিং খতিয়ে দেখে মামলা দায়ের করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy