Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

জন-মত জানতে ‘ড্রপ বক্স’

বিজেপি সূত্রে জানা যায়, আপাতত সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী ওয়ার্ডগুলিতে ‘ড্রপ বক্স’ রাখা হবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪০
Share: Save:

লোকসভা ভোটে বিজেপি কার্যালয়ে থাকা ‘ফের মোদী সরকার’ নামে একটি বাক্সে দাবি-দাওয়া জানানোর সুযোগ ছিল জনসাধারণের। সেই দাবিগুলিকে সামনে রেখে কর্মসূচি সাজানোর ‘ফল’ ভোটে মিলেছিল বলে দাবি বিজেপির। এ বার ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে বর্ধমান, কাটোয়া, কালনা, মেমারি, গুসকরা ও দাঁইহাটের নানা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ‘ড্রপ বক্স’ রেখে মানুষের অভাব-অভিযোগ জানা হবে বলে পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। সব ঠিক থাকলে জেলার ওই পুরসভাগুলিতে মার্চ-এপ্রিলে ভোট হবে। সে দিকে তাকিয়েই এমন পরিকল্পনা বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

বিজেপির সাংগঠনিক জেলা বর্ধমান সদর ও কাটোয়ার সভাপতি যথাক্রমে সন্দীপ নন্দী ও কৃষ্ণ সাহা বলেন, “সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। পুরসভা নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। বাড়ি-বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অনেকেই সরাসরি অভিযোগ জানাতে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে পারেন। তাই বিকল্প ব্যবস্থা।’’ লোকসভার আগে জনসাধারণের মতামত জানার যে ‘মডেল’ ছিল, তা-ই ফের সামনে রেখে পুরভোটেও জেলা জুড়ে ‘আপনার মতামত, আমাদের কর্তব্য’ নামে কর্মসূচি নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিজেপি।

বিজেপি সূত্রে জানা যায়, আপাতত সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী ওয়ার্ডগুলিতে ‘ড্রপ বক্স’ রাখা হবে। এ ছাড়া, দলীয় কার্যালয়, শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়েও ওই বাক্স রাখা হবে। বাক্সের পাশেই থাকবে কাগজ ও কলম। বিজেপি-র আবেদন থাকবে, ওই কাগজে নিজেদের এলাকার সমস্যা, ক্ষোভ নিয়ে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি পুর-এলাকার উন্নয়ন, চাহিদা নিয়েও মতামত জানাতে পারবেন নাগরিকেরা। পাশাপাশি, পুরসভার ‘অনৈতিক’ কাজকর্ম, তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’ নিয়েও লিখতে বলার জন্য আবেদন করা হবে। কৃষ্ণবাবু বলেন, “পুর-ভোট নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকে নাগরিক মতামত জানতে ড্রপ বক্স রাখার কথা আলোচনা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে আমরা কাটোয়া, কালনা ও দাঁইহাট পুরসভা এলাকায় এগিয়ে ছিলাম। তাই এখন থেকেই মানুষের মতামত নিয়ে এগোতে চাইছি।’’

বিজেপির নেতাদের ধারণা, তৃণমূলের ‘আগ্রাসী’ মনোভাবের কথা মাথায় থাকায় দলীয় কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছলেও অনেকেই পুরসভার বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন না। কিন্তু পুর-পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। পাশাপাশি, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বর্ধমান ও গুসকরায় পুরবোর্ড না থাকায় দৈনন্দিন পরিষেবা নিয়ে মানুষকে হয়রান হতে হয়েছে। এখন থেকেই মানুষের কথা শোনার জন্যে ন্যূনতম ব্যবস্থা করতে পারলে বিজেপির প্রতি নাগরিকদের আস্থা বাড়বে বলেই গেরুয়া শিবির মনে করছে। সন্দীপবাবুর দাবি, “পুরভোটকে সামনে রেখে বর্ধমান, মেমারি ও গুসকরায় যে কমিটি করা হবে সেখানে শুধু দলীয় নেতা-কর্মীরা নন, শহরের বিশিষ্টজনদেরাও থাকবেন।’’

যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা খোকন দাসের কটাক্ষ, “মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন, তা ফের প্রমাণিত হয়েছে উপনির্বাচনে। আমাদের শহরেও উন্নয়নের ধারা রয়েছে। কাজেই এ সব বাক্সেও তৃণমূল উন্নয়ন করেছে, এই মর্মেই লেখা জমা পড়বে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Drop Box Public Opinion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE